রাতের অন্ধকারে লকেটের গাড়িতে ‘তৃণমূলী’ হামলা! ‘বিরাট ষড়যন্ত্র’! ঠিক কী ঘটেছিল গতকাল?

   

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে হুগলি কেন্দ্রের দিকে নজর থাকবে অনেকের। গতবার এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। হারানো কেন্দ্র পুনরুদ্ধার করতে এবার ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুগলিতে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল শিবির। একদা দুই সতীর্থই এবার মুখোমুখি হতে চলেছেন ভোট ময়দানে। তবে তার আগে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে উঠল লকেটের গাড়িতে হামলার অভিযোগ।

শনিবার রাতের বাঁশবেড়িয়ার সেনপুকুর এলাকায় যান হুগলির (Hooghly) বিদায়ী সাংসদ লকেট। তবে তাঁর গাড়ি ঢোকামাত্রই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কিছু মানুষ। লকেটের দাবি, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই এই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে জোড়াফুল শিবির।

জানা যাচ্ছে, গতকাল বাঁশবেড়িয়ার কালীতলার একটি কালীপুজোয় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন বিজেপি (BJP) নেত্রী। অভিযোগ, তাঁর গাড়ি ঢুকতেই তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা-কর্মী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সঙ্গেই দেখানো হয় কালো পতাকা। হুগলির বিদায়ী সাংসদের গাড়ির ওপর হামলার অভিযোগও উঠেছে। তাঁর অভিযোগ, বাঁশবেড়িয়া পুরসভার উপ-পৌরপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায় এই হামলার নেপথ্যে রয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ ‘বাপীর বৌ দুটো পেয়েছে, আমরা কি মমতাকে ভোট দিই না?’, সায়নীকে কাছে ডেকে একি অভিযোগ বৃদ্ধার!

গাড়িতে হামলা প্রসঙ্গে হুগলির বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘অন্যান্য দিনের মতোই প্রচারে বেরিয়েছিলাম। রাতের দিকে বাঁশবেড়িয়ার কালীতলার একটি কালীপুজোয় যাচ্ছিলাম। সেই সময় দেখি কিছু মানুষ বাঁশের ওপর কালো পতাকা লাগিয়ে এগিয়ে আসছেন। গালিগালাজের সঙ্গে তাঁরা গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন’।

লকেট আরও বলেন, ‘আমার গাড়ি যত এগোচ্ছিল, ততই বাড়ছিল তাঁদের দাপাদাপি। গাড়ি ঘিরে তাঁরা মারতে শুরু করে। একটা ভিডিও করছিলাম আমি, সেটাও বন্ধ করে দিই। একজন আমার গাড়িতে ওঠারও চেষ্টা করেছিলেন। একটা বিরাট ষড়যন্ত্রের চেষ্টা ছিল’।

bjp leader locket chatterjee

বিজেপি নেত্রীর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ এবং হামলার এই ঘটনার নেপথ্যে বাঁশবেড়িয়ার পুরসভার উপ-পৌরপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন বলে অভিযোগ,। যদিও তিনি সেই দাবি অস্বীকার করেছেন। শিল্পী পাল্টা বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী ধাক্কাধাক্কিতে তিনি নিজেই আঘাত পেয়েছেন।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর