বাংলাহান্ট ডেস্ক : একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত ও গ্রেফতারের মামলায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সিবিআই থেকে ইডি, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা খতিয়ে দেখছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীদের যাবতীয় কৃতকর্মের হিসাব। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারগুলির নিরপেক্ষতা ইস্যুতে আগামীকাল ও পরশু বিকেল তিনটে থেকে মিছিলের ডাক দিয়েছে তৃণমূল যুব ও ছাত্র সংগঠনগুলি।
আজ সকালে গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। কিছুদিন আগে স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও অতীতে কয়লা সহ নানা ইসুতে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি ডেকে পাঠিয়েছে বিভিন্ন তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের। তৃণমূলের অভিযোগ ,নির্দিষ্টভাবে তৃণমূলের দলের বিরুদ্ধেই কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের অভিযোগ তুলে হেনস্থা করছে । কোন ঘটনায় বিজেপির নেতা-মন্ত্রী জড়িত থাকলে সেই ব্যাপারে সদিচ্ছার অভাব দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মধ্যে।
আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন,”কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি নিজস্ব চেহারা হারাচ্ছে। দলভিত্তিক কাজ করে তারা রীতিমতো দুর্বল হয়ে পড়ছে। সব ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে তদন্ত করা হোক। অদ্ভুত ভাবে আমরা লক্ষ্য করছি কোন ঘটনায় বিজেপির নেতা বা মন্ত্রী জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের সদিচ্ছা হারাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। আসামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিষ্ক্রিয় কেন? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।” এছাড়াও তার প্রশ্ন,”সারদা কাণ্ডে সুদীপ্ত সেন সরাসরি বলেছেন তিনি শুভেন্দু অধিকারী কে টাকা দিয়েছিলেন। তাহলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা কেন শুভেন্দু অধিকারী কে তলব করছে না?”
অনুব্রত ইস্যুতে বলতে গিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন,”দলের নিজস্ব কিছু নিয়ম আছে। অনুব্রতর বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা দল যথাসময়ে জানাবে। অনৈতিক কাজ ও দুর্নীতিকে দল প্রশ্রয় দেবে না। মানুষকে ঠকালে তার পাশে দল থাকবে না।”