বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার সকালে যশোর রোড কার্যত রণক্ষেত্র। মধ্যমগ্রামে পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) এক যুবকের মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তায় নামে স্থানীয় জনতা। ঘণ্টা দুয়েক ধরে বন্ধ হয়ে যায় কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত এই রাস্তার যান চলাচল। ধাক্কা খায় ধর্মতলা অভিমুখী তৃণমূল (TMC) কর্মীদের যাত্রাও।
দুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যু, তারপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয়েরা
স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ বিয়েবাড়ি থেকে ফিরছিলেন বছর সাতাশের এক যুবক। নজরুল সরণির কাছে রাস্তা পারাপারের সময় তাঁকে ধাক্কা মারে (Road Accident) একটি ভ্যান। গুরুতর আহত অবস্থায় দীর্ঘ ক্ষণ পড়ে থাকেন ওই যুবক। অভিযোগ, সেই সময় আশপাশে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ার এবং পুলিশ কোনও তৎপরতা দেখায়নি। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
দুর্ঘটনার (Road Accident) খবর ছড়াতেই রাস্তায় নামেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভকারীরা যশোর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পুলিশের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তোলে তারা। ক্ষোভ এতটাই বাড়ে যে, ট্র্যাফিক বুথেও চলে ভাঙচুর। অবরোধের জেরে পিছিয়ে পড়ে একের পর এক বাস, ধর্মতলা যাওয়ার পথে আটকে পড়ে তৃণমূল কর্মীদের গাড়িও।
ঘটনাস্থলে আসে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ ও বারাসতের এসডিপিও। ঘটনাস্থলে আসে মধ্যগ্রাম থানার (Madhyamgram PS) পুলিশ ও বারাসতের এসডিপিও। তারা গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে নেয়। তবে ততক্ষণে দুই ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে। অফিস টাইমে ব্যাপক যানজটের শিকার হন নিত্যযাত্রীরা।
আরও পড়ুনঃ ‘রাজনৈতিক যুদ্ধ অন্য কোথাও করুন’, মমতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় বলল সুপ্রিম কোর্ট
তদন্ত শুরু পুলিশের, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
ঘটনার তদন্তে নেমেছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। কে বা কারা ভ্যান চালাচ্ছিল, কেন এত ক্ষণ সাহায্য মেলেনি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রতিদিনই এই রাস্তায় দুর্ঘটনা (Road Accident) ঘটছে। ট্র্যাফিক পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।