বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছুমাস ধরে বাংলার বিচারব্যবস্থায় সর্বাধিক চর্চিত নাম গুলির মধ্যে একটি হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Banerjee)। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে একাধিক কঠিন মামলার রায় দিয়ে জনগণের মন জয় করে নিয়েছেন তিঁনি। তবে দুর্নীতির মামলায় বারংবারই রাজ্যের বিরুদ্ধে নিজের কড়া অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বিচারপতি। এদিন মাইকেল মধুসূদন লাইব্রেরির এক অনুষ্ঠানে গিয়ে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) লেখা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, গতকাল মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে কলকাতার খিদিরপুরে মাইকেল মধুসূদন লাইব্রেরিতে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিচারপতি। সেখানেই সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারে রাখা কিছু বইয়ের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। সেখানেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের লেখা কবিতা উল্লেখ করে তিঁনি বললেন, “এই অখাদ্য জিনিসগুলি গ্রন্থাগারে রাখবেন না।”
শুধু তাই নয়, তিঁনি আরও বলেন “এই অখাদ্য জিনিসগুলো গ্রন্থাগারে রাখবেন না, এটা আজ বলার সময় এসেছে। অখাদ্য বই সরবরাহ হয় সরকারি গ্রন্থাগারে, পড়তে চাইবে কোন মনুষ্য সন্তান? এই বই কিনলে তবেই সাহায্য পাওয়া যায়, না হলে পাওয়া যায় না। এই ধরনের বই সরবরাহ হলে, উইপোকা ছাড়া কারও সুবিধা হবে না।” বিচারপতির এহেন মন্তব্যের পরই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। পাশাপাশি বিচারপতির সমালোচনায় নেমেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যের সমালোচনা করে পাল্টা তৃণমূলের চিকিৎসক সাংসদ শান্তনু সেন (Santanu Sen ) বলেন, ‘বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজ করে থাকেন। এতে সেটাই প্রমাণিত হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিল্পসত্বা নিয়ে তিঁনি যেভাবে সমালোচনা করছেন তাতে বোঝাই যাচ্ছে তিঁনি পক্ষপাতিত্ব করেন।’