পৃথ্বীশ দাসগুপ্ত, নিউ দিল্লী – ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে নিজের পুরোনো অবস্থান থেকে কার্যত ১৮০° ডিগ্রী ঘুড়ে দাড়ালো পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ও পরে মাত্র একবছরেরও কম সময়ে তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা-নেত্রীদের বঙ্গ বিজেপির যুব, মহিলা, ও তপশিলী সংগঠনের মুখ করা হয়েছে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, পরিচিত ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পল, এছাড়াও রাজ্য বিজেপিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু, বিধায়ক দুলাল বড়, সাংসদ অর্জুন সিং,বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত কে।
তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা মুকুল রায় অনেক আগে বিজেপিতে এলেও কোন স্থায়ী গুরুত্বপূর্ণ দলীয় পদ না পাওয়ায় দলবদলে ভাটা পরে ছিল সাম্প্রতিক সময়ের বঙ্গ রাজনীতিতে।
তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসলে রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বহীন হয়ে থাকতে হবে, এমন প্রচারকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল অর্জুন, সৌমিত্র, সব্যসাচী, দুলাল বরদের গুরুত্ব না পাওয়া।
কিন্তু ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির রাজ্য কমিটির এই পরিবর্তন খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
মূলত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট ব্যাংকে বিশেষ কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি।
সর্বশেষ তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ফলাফল সেদিকেই ইঙ্গিত করেছে।
তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের ঘর ভাঙতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের এই মাষ্টারস্ট্রোক বলে মনে করছ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। এখন দেখার তৃণমূল কংগ্রেস ও অন্যান্য দলের নেতা, কর্মী ও বিধায়করা দিলীপ বাবুর নেতৃত্বে সরকার বদলের গেরুয়া হাওয়ায় গাঁ ভাসিয়ে ‘জোড়াফুল’ ছেড়ে ‘পদ্ম’ শিবিরে কত দিনে নিজেদের নাম লেখান।