বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নির্বাচনের আগে ফের ধাক্কা শাসক দলে। নির্বাচনের তৃণমূল ‘খেলা হবে” স্লোগানকে হাতিয়ার করে বৈতরণী পার করার চেষ্টা করছে। তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও মঞ্চে উঠে এই স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে। আরেকদিকে, বিজেপি এই স্লোগানের পাল্টা ‘উন্নয়ন হবে, শিক্ষা হবে, কর্মসংস্থান হবে, চাকরি হবে” স্লোগান দিয়ে তৃণমূলকে বিঁধছে।
আর এরই মধ্যে এই খেলা হবে স্লোগানে আপত্তি জাহির করে দল ছাড়লেন তৃণমূলের ছাত্রনেতা এবং ওনার অনুগামীরা। রবিবার ময়নাগুড়ির তৃণমূলের ছাত্র সভাপতি নিজের অনুগামীদের নিয়ে দল ছাড়েন। দলত্যাগী তৃণমূল নেতারা জানান, ‘খেলা হবে” স্লোগান এলাকায় সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করছে। আমরা চাই না আমাদের এলাকায় সন্ত্রাস হোক। তাই আমরা দল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছি।
ময়নাগুড়ি ব্লকের তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সভাপতি মুকুন্দ অধিকারী এবং ওনার অনুগামীরা দল ছেড়ে বলেন, কর্মী-সমর্থকরা দূরের কথা দলের শীর্ষ নেতৃত্বরা এরকম স্লোগানবাজি করে সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করছে গোটা এলাকায়। এটা আমাদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব না। আমরা চাই নির্বাচন সুষ্ঠ ভাবে হোক, কাউকে যেন আতঙ্কে না ভুগতে হয়। কিন্তু দলের নেতারা সেটা বুঝছেন না। বারবার উত্তেজক স্লোগান দিয়ে পরিস্থিতি খারাপ করছেন। আমরা এটা আর মেনে নিতে পারছি না।
মুকুন্দবাবুকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, তিনি তৃণমূল ছেড়ে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিচ্ছেন কি না? ‘তখন তিনি জানান। সেরকম কোনও চিন্তাভাবনা নিইনি। তবে একটাই কথা বলতে পারি, যেভাবে ভাষার মাধ্যমে সন্ত্রাস তৈরি হচ্ছে, সেটা দেখে আগামী প্রজন্ম আর রাজনীতিতে আসার নাম নেবে না।” মুকুন্দবাবু বলেন, এই ভাষা সন্ত্রাস যারাই সৃষ্টি করবে, আমরা তাঁদের বিরুদ্ধেই সোচ্চার হব।
এই প্রসঙ্গে ময়নাগুড়ির তৃণমূল প্রার্থী মনোজ রায় বলেন, ‘মুকুন্দবাবুদের মনে হয়ত কোনও মান-অভিমান রয়ে গেছে। আর এই কারণেই তিনি দলত্যাগ করেছেন। আমি ওদের বিষয়টা দেখে ওদের মান-অভিমান ভাঙানোর চেষ্টা করব। ওরাই দলের সম্পদ।”