বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অভিনেতা থেকে নেতা হয়েছেন তিনি। দুই ভূমিকাতেই সমান জনপ্রিয়। বর্তমানে অভিনয়ের পাশাপাশি চুটিয়ে রাজনীতিটাও করছেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। এবার তাঁকেই ‘বাংলার গদ্দার’ তকমা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘দিল্লি দখলের লড়াই’। আগামীকাল রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। তার আগে আজ রায়গঞ্জে সভা করেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী। সেই সভা থেকেই মিঠুন চক্রবর্তীকে আক্রমণ করেন তিনি। জনপ্রিয় এই অভিনেতা কেন বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছেন সেকথাও সর্বসমক্ষে ফাঁস করেন মুখ্যমন্ত্রী।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ায় শুভেন্দু অধিকারীকে একাধিকবার ‘গদ্দার’ বলে অভিহিত করেছে তৃণমূল। আজ রায়গঞ্জের সভা থেকে মিঠুনকে আক্রমণ করলেন মমতা। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মমতাকে একবার নিজের রাজনৈতিক গুরু বলে সম্বোধন করেছিলেন ‘মহাগুরু’। বিলেছিলেন, রাজনীতিতে তিনি যা যা করেছেন তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ শুভেন্দুর গাড়ি ঘিরে স্লোগান! বিরোধী দলনেতা নামতেই সব ঠান্ডা, উল্টে দে ছুট তৃণমূল সমর্থকদের!
সেই মিঠুন সম্বন্ধেই আজ তৃণমূল নেত্রী বললেন, ‘ওঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছিলাম। তবে ও যে আরও বড় গদ্দার সেটা আমি জানতাম না। উনিও আরএসএস অফিসে গিয়ে মাথা নীচু করে দিয়ে এসেছিল’। এখানেই না থেমে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, মিঠুন-পুত্র একটি মামলায় ফেঁসে গিয়েছিল। সেখান থেকে তাঁকে বাঁচাতেই পদ্ম শিবিরে নাম লেখায় সে।
মমতা বলেন, ‘যাঁদের কোনও আদর্শ নেই। যারা জীবনযুদ্ধে লড়াই করতে ভয় পায়, আমি তাঁদের মানুষ বলে মনে করি না’। মিঠুনকে আক্রমণের পাশাপাশি রামনবমীর মিছিলে অশান্তি এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়েও সুর চড়াতে দেখা যায় তৃণমূল সুপ্রিমোকে। রায়গঞ্জ থেকে মমতার প্রশ্ন, ‘অস্ত্র নিয়ে রামনবমীর মিছিল করার অধিকার কে দিয়েছে?’ অন্যদিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিজেপি ভয় পেয়েছে। সেই কারণে সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতরের মাধ্যমে সবাইকে ভয় দেখাতে চাইছে।