বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) আর অবশেষে গতকাল অপর এক হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। বর্তমানে এ সকল ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসকদলকে বিঁধে চলেছে বিরোধী দলগুলি আর এবার সিবিআই এবং ইডির মত কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির বিরুদ্ধে অবশেষে পথে নামল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)।
বাংলার বুকে একের পর এক দুর্নীতি মামলায় জেরবার শাসক দল। এর মাঝেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এ সকল মামলাগুলিতে তদন্তের জাল ক্রমশ গোটানোর পথে সিবিআই ও ইডি। পার্থ এবং অনুব্রত গ্রেফতারির পরেও একাধিক তৃণমূল নেতা যে তাদের নজরে রয়েছে, তা বলা বাহুল্য। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্যু মাঝে বিশেষ কোন বিরোধী অবস্থান না নিলেও গতকাল বীরভূমের জেলা সভাপতির গ্রেফতারির পর অবশেষে পথে নামলো তৃণমূল।
উল্লেখ্য, গতকাল সকাল হতেই অনুব্রতর বীরভূমের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে সিবিআই অফিসাররা। পরবর্তীতে বিকেলের সময় তাঁকে গ্রেফতার করা হয় এবং আদালতের নির্দেশে বর্তমানে ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন কেষ্ট। এর মাঝে গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে তৃণমূল। গতকালের বৈঠক থেকে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের দল কোনওরকম দুর্নীতি কিংবা অনৈতিক কাজকে সমর্থন করে না। যারা মানুষের ক্ষতি করে কিংবা মানুষদের ঠকায়, তাদেরকে আমরা সমর্থন করি না। মানুষই আমাদের কাছে শেষ কথা।”
তবে এর পরেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে আক্রমণের পথে হাঁটে শাসক দল। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি নিরপেক্ষতা বজায় রাখছে না। কেন্দ্রে শাসনকারী দলের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, অথচ বিরোধী দল হলেই তাদের বিরুদ্ধে তৎপর হয়ে উঠছে ওরা।” এর পরেই আগামী দু’দিন কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলের কথা ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী আর এদিন সেই মতো নারায়ণগড়ের বাগরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করলো তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন গোটা এলাকা জুড়ে সিবিআই এবং ইডির বিরুদ্ধে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বের হন অসংখ্য কর্মী সমর্থক। প্ল্যাকার্ডগুলিতে লেখা অনেকটা এরকম, ‘সিবিআই এবং ইডিকে দিয়ে বাংলাকে ভয় দেখানো যাবে না’, ‘রবীন্দ্রনাথের নোবেল যারা চুরি করেছে, তাদের গ্রেফতার করা হোক’।
একই সঙ্গে আগামীকালও তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল চলবে বলে জানা গিয়েছে। ফলে একদিকে যখন অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির খবর সামনে আসতে ঢাক-ঢোল বাজানোর পাশাপাশি গুড় ও বাতাসা বিলি করে চলেছে বিজেপি, আবার অপরদিকে তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত করে তুলবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।