বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১৯৯৩ সালে ২১ শে জুলাইয়ের কথা স্মরণ নেই, এমন কোন বাঙালি হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। ২৯ বছর আগের এই দিনটিতে পুলিশের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় ১৩ জন নিরীহ মানুষের দেহ! এহেন দাবি করে আসে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। অতীতেও প্রতিবছর এই দিনটিকে ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করে তারা আর এবার বাংলা তথা দেশের প্রতিটি মানুষের সামনে দিনটির গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য একুশে জুলাই-এর ওপর একটি তথ্যচিত্র বানানোর পরিকল্পনা নিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি ইতিমধ্যে দলেরই এক নেতাকে এই সম্পর্কে নির্দেশ পর্যন্ত দিয়েছে নেতৃত্ব। সংবাদ মাধ্যমের সূত্র মারফত এমন খবরই বর্তমানে উঠে আসছে।
১৯৯৩ সালে তৎকালীন কংগ্রেস দল মহাকরণ অভিযানের পরিকল্পনা নেয়। উদ্দেশ্য ছিল সচিত্র পরিচয় পত্র তৈরি করার দাবি তোলা। একুশে জুলাই-এর দিনটিতে মহাকরণ অভিযানে সামিল হয় যুব কংগ্রেস এবং তাদের মধ্যে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, সেই মিছিলে আচমকা পুলিশ গুলিবর্ষণ করে এবং সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় মোট ১৩ জন কর্মীর। পরবর্তীতে প্রতিবছর এই দিনটিকে স্মরণ করার জন্য ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বাংলার সকল জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষের সমাগমও ঘটে।
এবার এই দিনটিকে সকলের সামনে তুলে ধরার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল। এই সম্পর্কে তথ্যচিত্র বানানো পথে হাঁটতে চলেছে তারা এবং এ প্রসঙ্গে নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের হাতে দায়িত্ব পর্যন্ত তুলে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, পার্থবাবু নিজে একজন নাট্য পরিচালক। ফলে তথ্যচিত্র বানানোর কাজে তাঁর ওপরেই ভরসা রেখেছে দল। যদিও সমগ্র বিষয়টি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরদারিতেই হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, দু’বছর ধরে করোনার কারণে ভার্চুয়াল মাধ্যমে একুশে জুলাই দিনটি উদযাপিত হয়। তবে এ বছর করোনার প্রভাব কমায় বিপুল জনসমাগমের মধ্যেই শহীদ দিবস পালন করা হতে চলেছে। ইতিমধ্যে দলের পক্ষ থেকে সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি এ বছর উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহল থেকেও বহু মানুষ আসতে চলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ এবং তথ্যচিত্রের মাধ্যমে এবছর এই দিনটিকে বিশেষভাবে স্মরণীয় করতে চাইছে তৃণমূল।