বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চূড়ান্ত ভোটগণনা শেষে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের চকসুলতান মেহনতী কৃষাণ সমবায় সমিতিতে যেন রাজনৈতিক পালাবদলের বার্তা স্পষ্ট। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভোট (Cooperative Bank Election) একচেটিয়া জয় পেল ‘প্রগতিশীল সমবায় বাঁচাও সমিতি’। ৪১টি আসন বিশিষ্ট এই সমবায়ে তৃণমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও একটি আসনেও জয় পায়নি। সবক’টি আসনেই জয়ী হয়েছেন বামেদের নেতৃত্বাধীন এই জোটের প্রার্থীরা।
এই সমবায় সমিতিতে সিপিএম ও বিজেপি জোটবদ্ধভাবে ভোটে লড়েছিল (Cooperative Bank Election)। ফলাফল প্রকাশের পর জয়ীদের পক্ষ থেকে কোথাও ‘ইনক্লাব জিন্দাবাদ’ তো কোথাও ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান শোনা যায়। রাজনৈতিক মহলে এই জয়কে বিজেপি-সিপিএম জোটের বড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
‘ভোটার লিস্টে কারচুপি’, তৃণমূলের অভিযোগ
তবে এই ফলাফল নিয়ে একেবারেই আশ্চর্য নন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের এক স্থানীয় নেতা অরবিন্দ হালদার অভিযোগ করে বলেন, “ভোটার লিস্টই এমনভাবে তৈরি করে রাখা হয়েছিল যাতে সিপিএম বা বিজেপি ছাড়া আর কেউ ভোট দিতে না পারে। শুরু থেকেই আমাদের এটা জানা ছিল। যেভাবে বাড়ি বাড়ি মেম্বার করে রেখে দিয়েছিল, সেখানে তো ওরা জিতবেই। এতে দুঃখ নেই, কারণ এটা স্বাভাবিক।”
তিনি আরও জানান, “ভোটার লিস্টে আমরা একাধিক অসঙ্গতি পেয়েছি। যেখানে ৮০ জন ডেলিগেট হওয়ার কথা, সেখানে মাত্র ৪১ জনের ভোট হয়েছে। এটা নিয়ে আমরা হাইকোর্টে যাব। গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ হয়েছে।”
আরও পড়ুনঃ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে একাধিক নেতা, ভোটের আগেই নন্দীগ্রামে জয় বিজেপির
কড়া নিরাপত্তায় ভোট (Cooperative Bank Election), নজরদারিতে সিসিটিভি
এই সমবায়ে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫০ জন। আদালতের নির্দেশ মেনে ভোট গ্রহণের দিন নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়। ভোটের সময় গোটা এলাকা পুলিশে ছেয়ে যায়। বাইকে করে টহল দেন পুলিশ কর্মীরা। ভোট কেন্দ্রে বসানো হয় ১৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা, যাতে প্রতিটি মুহূর্তের ওপর কড়া নজর রাখা যায় (Cooperative Bank Election)।
প্রগতিশীলদের এই বিপুল জয়ে দাসপুরে বিজেপি-সিপিএম শক্তিশালী জোট কার্যত স্পষ্ট ও উজ্জীবিত। অন্যদিকে, এই ফলাফলে একেবারে কোণঠাসা তৃণমূল।