বিচারপতির নির্দেশে চাকরি খোয়ানোর পর থেকেই বেপাত্তা TMC কর্মী! তারপর যা হল… চমকে যাবেন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক কেলেঙ্কারি ইস্যুতে মুখ পুড়েছে রাজ্যের। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে একের পর এক চাকরি যাচ্ছে শাসক দলের ঘনিষ্ঠদের। দিক দিক থেকে উঠে আসছে এই একই ঘটনা। গত সপ্তাহে একজোটে ৭৮৫ জন গ্ৰুপ সি (Group C) কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। আদালতের সেই নির্দেশেই চাকরি হারিয়েছেন বাঁকুড়ার (Bankura) এক তৃণমূল কর্মী (TMC Worker)।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শাসকদলের বড় বড় নেতাদের সঙ্গে ওঠা-বসা তার। তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রভাব খাটিয়েই এক স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন এই তৃণমূল কর্মী। বিজেপি সূত্রেও এমনটাই দাবি করা হয়েছে। তবে চাকরি হারানোর পর থেকে উধাও তিনি। বাড়িতে দেখা মিলল না চাকরি হারা গ্রুপ সি কর্মীর।

জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রকাশিত গ্রুপ সি চাকরি বাতিলের তালিকায় ১১৯ নং-এ নাম রয়েছে বাঁকুড়া ২ নং ব্লকের তালাডাঙ্গ গ্রামের বাপি বাউরির। সেখানেরই স্থানীয় কাঞ্চনপুর হাইস্কুলে গ্রুপ সি কর্মী পদে চাকরি করতেন তিনি। পাশাপাশি শাসকদলের কর্মী হিসেবেই এলাকায় সকলে তাকে চিনত।

high court

তবে চাকরি বাতিলের তালিকা সামনে আসতেই হঠাৎ হওয়ার মতো উড়ে গেলেন ওই তৃণমূল কর্মী। গ্রামের বাড়িতে গিয়েও খোঁজ মেলেনি চাকরি হারা গ্রুপ সি কর্মী বাপি বাউরির। পরিবারের অবশ্য দাবি এই বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। তবে কোথায় গেলেন বাপি? এখনও তার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, বাপি যেই স্কুলে কর্মরত ছিলেন সেখানের একমাত্র ক্লার্ক ছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তার চাকরি যাওয়াতে সমস্যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। জানিয়ে রাখি, স্থানীয় সূত্রে বাপিকে তৃণমূলের বলে দাবি করা হলেও তিনি তৃণমূলের কোন সক্রিয় কর্মী ছিলেন কী না তা এখনও জানা যায়নি।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর