বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন মহিলারা। রাজ্যে তৃণমূল সরকার চলছে, আর নির্যাতিতারা রাজ্যের কাছে সঠিক বিচার পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নেড়েছে। নির্যাতিতারা সুপ্রিম কোর্টে গোধরা কাণ্ডের পর শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে নেওয়া পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের তত্বাবধানে বাংলা হওয়া গণধর্ষণ আর হিংসার ঘটনার তদন্তের জন্য এসআইটি গঠন করার আবেদন জানিয়েছে।
আবেদনকারী মহিলাদের মধ্যে একজন ৬০ বছর বয়সী মহিলাও আছেন। তিনি জানান, নির্বাচনে জয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেসের ৫ জন কর্মী বাড়িতে ঢুকে তাঁর ছয় বছরের নাতনি সমেত তাঁকেও গণধর্ষণ করে। বৃদ্ধা জানান। ৪-৫ মে’র রাতে এই ঘটনা ঘটে আর তাঁর ঘরের সমস্ত কিছু লুটপাট করা হয়েছে।
মহিলা নিজের আবেদনে জানিয়েছেন, খেজুরি বিধানসভা আসনে বিজেপির প্রার্থী জয় পাওয়ার পর ১০০ থেকে ২০০ তৃণমূল কর্মী তাঁদের বাড়ি ঘিরে ফেলে। তাঁদের বাড়ি বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হুমকি দেয়। আর এরপরেই তাঁরা প্রাণ ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালায়।
বৃদ্ধা মহিলা নিজের আবেদনে জানান, প্রতিবেশীরা তারপরের দিন সকালে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। বৃদ্ধা জানান, তাঁর মেয়ের স্বামী এই ঘটনা নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ তাঁদের অভিযোগ জমা নেয়নি। বৃদ্ধা আদালতে জানান, তৃণমূল কর্মীরা বদলা নিতেই ধর্ষণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।
বৃদ্ধা মহিলা ছাড়া দলিত সম্প্রদায়ের একটি ১৭ বছরের নাবালিকাও গণধর্ষণ মামলায় বিচার চাইতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। নাবালিকা সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেছে যে, তৃণমূলের কর্মীরা তাঁকে গণধর্ষণ করেছে এবং পুলিশে অভিযোগ জানানো হলেও তাঁরা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। নির্যাতিতারা এই মামলার ট্রায়াল শহরের বাইরে কোথাও করার আবেদন জানিয়েছে।