বাংলা হান্ট ডেস্ক : SFI-র অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির উত্তরপাড়ার রাজা প্যারীমোহন কলেজে। তাদের দাবি, ২০১১ সালের পর কলেজে স্থায়ী-অস্থায়ী পদে চাকরি পেয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অন্তত ১০ জন নেতা। কসবা কাণ্ডের আবহে এই অভিযোগে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ জানাচ্ছেন, সবকিছু হয়েছে পরিচালন সমিতির সুপারিশে। তবে সেই কমিটির মাথায় রয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। তিনি আবার বলছেন, ‘আমি কিছুই জানি না’। SFI-র দাবি, TMCP-র ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে জেলা সভাপতি—যাঁরা এক সময় কলেজে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারাই এখন কলেজে চাকরিরত।

একের পর এক নাম, সবই TMCP-র পরিচিত মুখ
চাকরি পাওয়া তালিকায় রয়েছেন ঝুমা ধাড়া, সৌভিক মণ্ডল, অনাদি রায়, সৌত্রিক লাহিড়ি, নীলাদ্রি পাল, কৃশানু ঘোষাল, বিশ্বজিৎ প্রামাণিক, দীপ দাস, রিয়া রায় ও শুভদীপ মুখোপাধ্যায়। এঁদের অনেকেই কলেজে TMCP পরিচালিত ছাত্র সংসদের পদে ছিলেন। অভিযোগ উঠছে, ছাত্র রাজনীতির বিনিময়ে কলেজেই ‘স্থায়ী নিরাপত্তা’ দেওয়া হচ্ছে দলীয় কর্মীদের। বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক জানিয়েছেন, “আমি ২০২১ সালে এসেছি, আগের কিছু জানি না।” তবে কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক শ্রুতিনাথ প্রহরাজ বলছেন, “ভয় সিন্ডিকেটকে টিকিয়ে রাখাই মূল উদ্দেশ্য। এর পেছনে রয়েছে টাকা, স্পষ্ট করেই বলছি।” SFI-র হুগলি জেলা সম্পাদক বাদশা দাসের কথায়, “TMCP নেতাই যদি চাকরি পান, তবে এই কলেজের ভবিষ্যৎ কী?” তাঁদের মতে, উত্তরপাড়া কলেজ ‘মনোজিৎ-মডেল’-এর নতুন শাখা মাত্র।
আরো পড়ুন : রাজ্যের শিক্ষকদের জন্য খারাপ খবর! ফের নির্দেশিকা জারি করল শিক্ষা দফতর

‘চাকরি পেলে অপরাধ কী’? তৃণমূলের সাফাই
TMCP নেতা সৌভিক মণ্ডল চাকরি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, “এসএফআইয়ের সময়ও তো অনেক চাকরি হয়েছে।” তাঁর দাবি, এ বিষয়ে দল তাঁকে মুখ খুলতে নিষেধ করেছে। তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষালও জানান, “আমি কোনও সুপারিশ করিনি, তবে চাকরি পেলে দোষ কোথায়?”
কসবা থেকে শুরু করে কলকাতার একাধিক কলেজে TMCP নেতাদের চাকরি হয়েছে। এবার সেই ‘মডেল’ ছড়িয়ে পড়েছে জেলাতেও। প্রশ্ন একটাই—এই নিয়োগ কি স্রেফ কাকতালীয়, নাকি পরিকল্পিত নিযুক্তির ছক?
‘আমাদের পছন্দ ইসলাম, মুসলিমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না, হিন্দুরা করে’, TMC বিধায়কের দাবিতে শোরগোল