বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৪ লোকসভা ভোটে (Loksabha Vote) তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় (Trinamool Congress) একাধিক চমক। এই যেমন টিকিট পায়নি গত বারে বিপুল ভোটে জয়লাভ করা একাধিক সাংসদ, তেমনি আবার অন্যদিকে হেভিওয়েট কেন্দ্র থেকে জায়গা করে নিয়েছেন সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh) মত নেত্রীরা। গত বিধানসভা নির্বাচনে ডাহা ফেল করেও এবারে যাদবপুরে এবার জোড়াফুল প্রার্থী হচ্ছেন যুবসভানেত্রী সায়নী ঘোষ। সম্প্রতি সাংসদ হিসেবে মিমি চক্রবর্তী নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তাই এবার সেই অভিনেত্রীর পরিবর্তে আসরে নামলেন সায়নী, যিনিও আগে অভিনয় জগতের সাথেই যুক্ত ছিলেন।
ব্রিগেডের সভা থেকে সায়নীর নাম ঘোষণার পর থেকেই চর্চায় তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছেন যাদবপুরের ক্যান্ডিডেট। কখনও দেওয়াল লিখন, কখনও ভোট প্রচারে বেরিয়ে বানাচ্ছেন মমতা। আর এবার শিবলিঙ্গে পুজো দিয়েই প্রচারে সায়নী ঘোষ। তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন তার লোকসভা কেন্দ্রের (2024 Lok Sabha Election) সকল মানুষের মঙ্গল কামনায় করেই এই পুজো।
সালটা ২০১৫, আজ থেকে প্রায় ৯ বছর আগে সায়নী ঘোষ নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে (বর্তমানে যা এক্স) থেকে একটি গ্রাফিক শেয়ার করেছিলেন। যেই শিবলিঙ্গে আজ পুজো, সেই সময় তাতেই কন্ডোম পরানোর ছবি পোস্ট করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সায়নী। গ্রাফিকটিতে ছিল একটি শিবলিঙ্গের ছবি তাতে কন্ডোম পরাচ্ছিলেন এডস সচেতনতার বিজ্ঞাপনের ‘বুলাদি’।
ছবির ক্যাপশনে লেখা ছিল, “এর থেকে বেশি কার্যকরী হতে পারেন না ঈশ্বর।” যা বুলা দির শিবরাত্রি নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরাট ভাইরাল হয়েছিল। ওই এক পোস্ট নিয়ে সায়নীর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ ওঠে। যদিও পরে সায়নী ঘোষ সেই জানান, তার টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল। ওই পোস্ট দেখার পরই ডিলিট করে দেন।
আরও পড়ুন: ‘কলকাতা হাই কোর্ট ‘ডাম্পিং গ্রাউন্ড’ হয়ে গিয়েছে! দায়ী…’, বোমা ফাটালেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি
সায়নীর দাবি ছিল, ২০১০ সাল থেকে তার অ্যাকাউন্ট খোলা হলেও তিনি তাতে সক্রিয় ছিলেন না। ২০১৭ সাল থেকে ফের তিনি সক্রিয় হন। তবে পোস্ট মুছে দিলেও এখনও সুযোগ পেলেই কন্ডোম ইস্যুতে তাকে তোপ দাগতে সময় ব্যয় করেনা বিরোধীরা। এখন এতদিন পর কী তবে পূর্বের বিতর্ককে মাথায় রেখেই শিবলিঙ্গে পুজো দিলেন সায়নী! যদিও সে প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূলের ঝাঁঝালো এই নেত্রী।