বাংলা হান্ট ডেস্ক : শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এবার সরব হলেন জয়প্রকাশ মজুমদার (Jayprakash Majumdar)। একাধিক দুর্নীতিতে নাম জড়ালেও কেন একবারও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) তলব করছে না ইডি- সিবিআই? বারবার এই প্রশ্ন তোলে তৃণমূল নেতৃত্ব। জোড়াফুল (Trinamool Congress) শিবিরের দাবি তদন্ত ও জেলযাত্রার হাত থেকে বাঁচতেই নাকি বিজেপিতে (Bharatiya Janata Party) গিয়েছেন তিনি।
এবার সেই মতকেই কার্যত সমর্থন করলেন একদা বিজেপি নেতা তথা বর্তমান তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরলেন, ঠিক কোন শর্তে বিজেপিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। জয়প্রকাশের দাবি, গোটা ঘটনার সাক্ষী রয়েছেন তিনি নিজে। শুধু তাই নয়, এই সাংবাদিক সম্মেলনের ভিডিওটি শেয়ারও করেন নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘একদিকে জেলের ভয় আর অন্যদিকে লোভ এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা – এই তিন মিলিয়ে শুভেন্দু অধিকারী তৎকালীন বিজেপির সঙ্গে সেটিং করেছিলেন। এইরূপ নীতিহীন রাজনীতিবিদদের জায়গা কি আদৌ হওয়া উচিত বাংলাতে?’
একদিকে জেলের ভয় আর অন্যদিকে লোভ এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা – এই তিন মিলিয়ে শুভেন্দু অধিকারী তৎকালীন বিজেপির সঙ্গে সেটিং করেছিলেন।
এইরূপ নীতিহীন রাজনীতিবিদদের জায়গা কি আদৌ হওয়া উচিত বাংলাতে? pic.twitter.com/xMHiAiixKm— Jay Prakash Majumdar (@Jay_Majumdar) May 22, 2023
সোমবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন কুণাল ঘোষ ও জয়প্রকাশ মজুমদার। সেখানেই একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তারিখ উল্লেখ করে ব্যাখ্যা করেন শুভেন্দুর দলত্যাগ। জয়প্রকাশের দাবি, বিজেপির উদ্দেশ্যই ছিল তৃণমূলকে ভেঙে ফেলা। এই কাজে তাঁরা ব্যবহার করেছিল মুকুল রায়কে। দীর্ঘ আলোচনার পর ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন মুকুল রায়, জয়প্রকাশ মজুমদার নিজে, অরবিন্দ মেনন-সহ অন্যান্যরা।
তার আগে দলবদল নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হলেও ওইদিনই দলবদল চূড়ান্ত হয়। জয়প্রকাশের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী বারবার প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আমার ব্যাপারটা ঠিক হয়ে গিয়েছে তো?’ কৈলাস বিজয়বর্গীয় আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ‘অমিতজি আছেন তো। কোনও চিন্তা নেই।’ তা শুনে হেসে ফেলন মুকুল রায়ও।
জয়প্রকাশ আরও দাবি করেন, শুভেন্দু জেল যাত্রা আটকানোর জন্য যে কোনও পদক্ষেপ করতে প্রস্তুত ছিলেন। আর সেই শর্তেই বিজেপিতে যোগ। তৃণমূল নেতার দাবি, ৫ নভেম্বর কলকাতার হোটেলে চুক্তিপত্রে সই হয়। ওইদিন ঠিক হয়ে যায়, ইডি-সিবিআই কেউ শুভেন্দুর কিছু করবে না। এরপর ২৭ নভেম্বর মন্ত্রিত্ব ছাড়েন শুভেন্দু। ১৬ ডিসেম্বর ইস্তফা দেন বিধায়ক পদ থেকে। ১৯ ডিসেম্বর যোগ দেন বিজেপিতে। জয়প্রকাশের কথায়, ‘ঘটনা চক্রে আমার সৌভাগ্য হয়েছিল গোটা বিষয়টা সামনে থেকে দেখার। সেই কারণে আজ সবটা প্রকাশ্যে আনতে পারলাম।’