বাংলা হান্ট ডেস্ক :ক্যাবের প্রতিবাদে দেশের অন্যান্য প্রান্তের মতো উত্তপ্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। অসমের গুয়াহাটি, ডিব্রুগড়ের পর কলকাতা, উলুবেড়িয়া থেকে শুরু করে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশে ক্যাবের প্রতিবাদের সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ। বুধবার রাজ্যসভায় বিল পাশ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মিলেছে বৃহস্পতিবার। তারপর থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হচ্ছে গোটা বাংলা। আর তাই বাংলাকে শান্ত করার বার্তা দিচ্ছেন বুদ্ধিজীবিরা।
শনিবার সমাজের বিশিষ্ট জনেরা, লেখিকা থেকে কবিরা সকলে শনিবার প্রেসক্লাবে একটি শান্তি বার্তা সভার আয়োজন করেছেন। বিকেল পাঁচটা থেকে প্রতিবাদ সভা শুরু হবে বুদ্ধিজীবিদের। আর সেই সভায় উপস্থিত থাকবেন শুভাপ্রসন্ন, অরিন্দম শীল, সুবোধ সরকার, আবুল বাশার, মনোজ মিত্র, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, জয় গোস্বামী, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী-সহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকালে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে উলুবেড়িয়া স্টেশন চত্বর। এমনকি ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিশিষ্টজন শুভাপ্রসন্ন জানিয়েছেন, ‘বিভাজনের ভয়ংকর রাজনীতি চলছে। বিশেষ করে বাংলা এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বহু রাজ্যে মানুষেরা আতঙ্কিত। কোথাও যেন একটা সাম্প্রদায়িকতার উসকানি। এতে আমারা ভয়ংকর ভাবে ভীত, সন্ত্রস্ত।’
বৃহ্সপতিবার সকাল থেকে অগ্নিগর্ভ হয়েছে অসমের বিভিন্ন এলাকা। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে নামানো হয়ে কয়েক কোম্পানির আধা সেনা। এমনকি ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে। জারি হয়েছিল কার্ফু। তবে শনিবার সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪টে অবূধি কার্ফু শিথিল করা হয়েছে।অন্যদিকে ডিব্রুগড়ে সকালে ৮ টা থেকে দুপুর দুটো অবধি কার্ফু শিথিল করা হয়েছে।
পাশাপাশি, সেনাদের তরফে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সতর্ক থাকার পরামর্ষ দেওয়া হয়েছে। অর্থাত্ সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনোরকম মন্তব্য শেয়ার না করা কিংবা কোনো পোস্টের মন্ত্বয না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অসমের রাজ্য পুলিশের ডিজি বলেছেন, ”আমরা শান্তি ফিরিয়ে আনছি । আজ পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো । আমরা সতর্ক আছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা দিনরাত কাজ করছি । তবে এখনও অবধি ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধই রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হবে।