কয়েকবছর আগে লাল ডায়েরি নিয়ে কম বিতর্ক হয় নি। দাবি ছিল এই লাল ডায়েরিতেই নাকি রয়েছে সারদা মামলারগুরুত্বপূর্ণ তথ্য, কিন্তু কয়েক বছর কেটে গেলেও সেই লাল ডায়েরি এখনও অবধি সিবিআই-য়ের হাতে এসে পৌঁছায়নি। পাশাপাশি ডার্ড ডিক্সের হদিশও নেই। মনিটর ও কিবোর্ড সিটের হেফাজতে থাকলেও এগুলি কোথায়। রাজীব কুমারের গ্রেফতারি স্থগিতাদেশ মামলায় উচ্চ আদালতে এমনটাই সওয়াল করল সিবিআই। মঙ্গলবার ভরা আদালতের সামনে একের পর এক প্রশ্নে জর্জরিত করে সিবিআই আইনজীবীরা চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেন।
সারদা মামলার তদন্ত দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে মামলার নিষ্পত্তি ঘটাতে চাইছে সিবিআই। তাই মঙ্গলবার কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের গ্রেফতারির স্থগিতাদেশ মামলায় বেশ কড়া হাতেই মাঠে নেমেছিলেন সিবিআই আইনজীবি ওয়াই জে দস্তুর।তাই সারদা মামলার তথ্য প্রমানের জন্য এদিন লাল ও হলুদ ডায়েরির হদিশ সিবিআইয়ের হাতে না ওঠায় তিনি আরও একবার রাজীব কুমারকে কাঠগড়ায় তোলেন। পাশাপাশি সারদা মামলার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট করারও অভিযোগ আনেন তিনি। একইসঙ্গে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেন এদিনের শুনানিতে। অন্যদিকে তাঁর আরও দাবি এই মামলায় সারদার অফিসে তল্লাশি চালিয়ে কিবোর্ড ও মনিটর বাজেয়াপ্ত করা হলেও হার্ড ডিস্ক কেন বাজেয়াপ্ত করা হল না।
অন্যদিকে মঙ্গলবার রাজীবের মামলার শুনানিতে আদালত কক্ষে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাইরে চলে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে সাংবাদিকদের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি তোলেন রাজীবের আইনজীবি। যদিও বিচারকের পক্ষ থেকে সরাসরি দুই আইনজীবি যদি রাজী হন তবেই এই ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করার কথা জানানো হয়। এবং বিচারপতি সংবাদমাধ্যমের অধিকার সম্পর্কেও অবগত করেন রাজীবের আইনজীবিকে।