বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সন্ধি শব্দের অর্থ মিলন। মা দূর্গার দীর্ঘ ৯ দিন ৯ রাত্রি অসুর বধের সংগ্রামে তাঁর কোন সন্ধির প্রয়োজন পড়েনি, একথা আমরা সকলেই জানি। তবে জেনে নিন দূর্গা পুজোর অষ্টমীর দিন কেন আমরা সন্ধি পুজো (Sandhi Puja) করে থাকি।
প্রকৃতপক্ষে এক্ষেত্রে সন্ধি যুদ্ধের নয়, বরং সময়ের। অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট এবং নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিট মোট ৪৮ মিনিট সময়ই হল মহা সন্ধিক্ষণ এবং সন্ধি পুজো এই সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করতে হয়।
সন্ধি পুজোর তিথি- এবছর ২৪ শে অক্টোবর শনিবার সকাল ১০ টা বেজে ৫৮ মিনিট ২৯ সেকেন্ডে শুরু হয়ে শনিবার সকাল ১১ টা ৪৬ মিনিট ২৯ সেকেন্ডে শেষ হচ্ছে।
সন্ধিপুজোর মাহাত্ম্য বর্ণনার্থে পুরাণে একটি বিবরণ থেকে জানা যায়- যে এই সন্ধিক্ষণে মা কালিকার জন্ম হয় দেবী অম্বিকার ত্রিনয়ন থেকে। আবার এমনটাও শোনা যায়, যে এই সময়ই পরাক্রমশালী অসুর রক্ত বীজের সমস্ত রক্ত দেবী কালিকা পান করেছিলেন। ফলত এই সন্ধিক্ষণে ক্ষণিকের জন্য হলেও দেবীর অন্তরের সমস্ত স্নেহ মমতার অবসান ঘটে। এজন্য সন্ধিপুজো চলাকালীন মায়ের দৃষ্টির সম্মুখে কাউকে যেতে দেওয়া হয় না। দৃষ্টিপথ পরিস্কার রাখার নির্দেশ দেওয়া থাকে।
সন্ধিপুজোয় মূলত পুজোর শেষধাপ অর্থাৎ শেষ ২৪ মিনিটে বলিদান সম্পন্ন করা হয়। সাধারণত ছাগল পাশাপাশি কোন কোন জায়গায় আখ, কলা, চালকুমড়ো ইত্যাদি বলি দেওয়া হয়ে থাকে।
শোনা যায়, সংযমী হয়ে ভক্তি ভরে নিষ্ঠার সঙ্গে উপবাসী থেকে সন্ধিব্রত করলে যমদুখ থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। অর্থাৎ মৃত্যুর সময় মায়ের কৃপা লাভ করতে পাড়ায় যমের স্পর্শ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আবার বলা হয়, নিষ্ঠা এবং ভক্তির সঙ্গে সন্ধিপুজো সম্পন্ন সকলে যে ফল পাওয়া যায়, তা সারাবছর পুজোয় ফললাভের সমকক্ষ।