এবার ঘূর্ণিঝড় ‘তাউকটে’, শক্তি বাড়িয়ে শীঘ্রই আছড়ে পড়বে উপকূলেঃ আবহাওয়া দফতর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গতবছর প্রায় এই সময়েই বাংলার উপর আছড়ে পড়েছিল বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় (cyclone) আমফান। লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। গাছপালা, ঘরবাড়ি সমস্ত কিছুই ভেঙে তছনছ করে দিয়েছিল আমফান। ঘরছাড়া ছিল বহু মানুষ। বেশকিছু বিদ্যুৎ সংযোগ আসতেই প্রায় ১৫ দিন সময় লেগেছিল। সেই স্মৃতি আবারও ফিরছে। সাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণিঝড় ‘তাউকটে’ (tauktae)।

cyclone

আবহাওয়া দফতর (weather office) জানাচ্ছে, করোনার প্রথম ঢেউয়ে আমফানের মতই এবার দ্বিতীয় পর্যায়েও হানা দিতে তৈরি হচ্ছে তাউকটে। মৌসম ভবন সূত্রের খবর, বর্তমানে মাঝ সমুদ্রে শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় তাউকটে। শক্তি বাড়িয়ে আছড়ে পড়বে কয়েকদিনের মধ্যেই।

ttt 660x330 1

জানা গিয়েছে, আগামী ১৪ ই মে শুক্রবার সকাল থেকেই দক্ষিণপূর্ব আরব সাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হবে। লাক্ষাদ্বীপ সংলগ্ন উপকূলবর্তী এলাকায় যার প্রভাব পড়তে পারে। তবে এই ঝড়ের গতিবেগ সম্পর্কে এখনও সঠিক ধারণা না করা গেলেও, বলা হচ্ছে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসবে উপকূলের দিকে। তবে ১৬ ই মে তা গতি বাড়িয়ে ৮০ কিলোমিটার হতে পারে।

weather 2

মরশুমের এই প্রথম ঘূর্ণিঝড় আরব সাগরে তৈরি হচ্ছে। যার প্রভাবে লাক্ষাদ্বীপ সংলগ্ন উপকূলবর্তী এলাকায় প্রবল ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবার দক্ষিণ-পশ্চিমের দিকেও এই ঘূর্ণিঝড় বাঁক নিতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সমুদ্রের মৎস্যজীবীদের জন্য করা সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সমুদ্রে যাওয়ায় জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। আর যারা মাঝ সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদের দ্রুত ফিরে আসার কথা বলা হয়েছে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর