‘কারও কাছে কখনও কিছু চাইনি’, ‘পদ্মভূষণ’ পেয়ে আপ্লুত মিঠুন চক্রবর্তী, আবেঘন বার্তা মহাগুরুর

বাংলা হান্ট ডেস্ক : সেই কোন ১৯৭৬ সালে সিনেমা জগতে পদার্পণ করেছিলেন তিনি। পরিচালক মৃণাল সেনের (Mrinal Sen) ‘মৃগয়া’ (Mrigya) ছবির হাত ধরে শুরু হয় পথচলা। প্রথম ছবিতেই নিয়ে আসেন জাতীয় পুরস্কার (National Award)। তবুও কোথাও না কোথাও তখনও বলিউড (Bollywood) তাকে আপন করতে পারেনি। শ্যামবর্ন রোগা লিকপিকে চেহারার মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) কেরিয়ারে এসেছে অনেক চড়াই উৎরাই। তবে কোনও বাধাই তাকে থামিয়ে রাখতে পারেনি।

দীর্ঘ ৪৮ বছরের কেরিয়ারে উপহার দিয়েছেন একাধিক হিট ছবি। একদিকে তিনি মহাগুরু, ডিস্কো কিং। অন্যদিকে ‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে’ সংলাপের হাত ধরে অ্যাকশন প্যাকড। পর্দার পাশাপাশি রাজনীতির ময়দানেও তিনি ‘জাত গোখরো’। আর এবার সেই মিঠুনদার ঝুলিতেই গেল পদ্মভূষণ সম্মাননা। স্বাভাবিকভাবেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন মহাগুরু।

এইদিন এক ভিডিও বার্তায় মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, ‘এই পুরস্কার পেয়ে আমি গর্বিত, আনন্দিত। সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি জীবনে কখনও নিজের জন্য কারও কাছ থেকে কিছু চাইনি। কিছু না চেয়ে পাওয়ার যে আনন্দ সেটাই উপলব্ধি করছি এখন।’ এই সাফল্যকে উৎসর্গ করেছেন নিজের ভক্তদের। মিঠুনের কথায়, ‘এই সম্মান আমার সমস্ত ভক্তদের উৎসর্গ করছি। যারা এতদিন ধরে নিস্বার্থভাবে আমাকে ভালোবেসেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করছি।’

আরও পড়ুন : শিব মন্দিরে ভাঙচুর, প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে উত্তপ্ত হাওড়া! মমতার বিরুদ্ধে উস্কানির অভিযোগ বিজেপির

ভক্তরা এই খবরে খুশি হলেও মোটেও খুশি হননি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এইদিন তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘অভিনয়ের স্বীকৃতিতে পদ্মভূষণ নয়। তাহলে 2014র পর যেকোনো সময় পেতেন। এখন এটা AITCofficial এর সঙ্গে বেইমানি করা আর কুৎসা করার পারিশ্রমিক। দলবদল করে, কৃতজ্ঞতার মোড়ক খুলে, ভাড়া করা নোটাঙ্কির পুরস্কার।’

আরও পড়ুন : ভগ্ন গণেশ, হনুমানের মূর্তি থেকে শিবলিঙ্গ! জ্ঞানবাপীর নীচ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ জোগাড় করল ASI

 

এতে অবশ্য মিঠুনের প্রতি বাঙালির আবেগ কমানো যাবে বলে মনে করছেনা রাজনৈতিক কারবারিরা। কারণ তার রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন, অভিনেতা হিসেবে মিঠুন চক্রবর্তী যে সেরার সেরা সেকথা স্বীকার করতে বাধ্য হয় তার কট্টর সমালোচকরাও। আর তার প্রমাণ মিলেছে কুণাল ঘোষের কমেন্ট বক্সেও। একজন তো উল্টে কুণালের সমালোচনা করে লিখেছেন, ‘ওই জন্য তো তোকে মিঠুন চক্রবর্তী বলে ‘এলি তেলি গঙ্গারাম’ ৩টে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ওই অভিনয়ের জন্য পেয়েছে। ৩টে ফিল্মফেয়ার পেয়েছে অভিনয়ের জন্য। কোন দাদা দিদির পা ধরে পায়নি।’


Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর