বাংলা হান্ট ডেস্ক : ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে ফের দলবদল। এর আগে সাল ২০১৯ এর ২১ জুলাই বিজেপি-র রাজ্য দফতরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্র (Rimjhim Mitra)। সেবার তার হাতে পদ্ম আঁকা পতাকা তুলে দিয়ে দলের সদস্য করেছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আর এবার সেই বিজেপি নেত্রী রিমঝিম যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে (Trinamool Congress)। জোর গলায় বললেন, ‘আমার মনুষত্ব, বিবেক এই মঞ্চে ডেকে এনেছে।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যের ১০০ দিনের কাজ-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বকেয়া আদায়ের দাবিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধর্ণা-আন্দোলনে নেমেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত চারদিন ধরেই চলছে এই ধর্ণা। আর এইদিন সেই মঞ্চে উপস্থিত হয়ে রিমঝিম বলেন, ‘আজকে আমি কোনও রাজনৈতিক মঞ্চে আসছি, এরকম মনোভাব নিয়ে আসিনি। আপনি যেই দলের সদস্য হোন না কেন, যদি গরিব মানুষের টাকা যারা আটকে রাখে তাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ না তুলতে পারেন, তাহলে তাদের আমি মানুষ বলব না।’
সাথে তিনি আরও বলেন, ‘আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মঞ্চে উপস্থিত সকলকে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই’। এমনকি বিজেপি প্রসঙ্গেও মুখ খুললেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘বিজেপি নিজেও কি জানে যে ওদের দলে আর কে আছে আর কে নেই? কারণ আমি যখন অ্যাক্টিভলি ঐ দলের জন্য তখন তখনকার প্রেসিডেন্টকে বলতে শুনেছি, ‘আচ্ছা ঐ অভিনেত্রী কি আমাদের সঙ্গে রয়েছেন?’ আমি যাদের নেতৃত্বে কাজ করছি, তারাই যদি স্বীকৃতি না দেন, তাহলে কেন করছি?’
আরও পড়ুন : নয়া ট্রেন্ড! শ্রুতির পর গোপনে বিয়ে সেরে ফেললেন দেবচন্দ্রিমা, দেখুন সিঁদুরদানের ভিডিও
বঙ্গ বিজেপির করার পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। সাথে তিনি এটাও বলেন যে, নেত্রী হওয়ার কোনো ইচ্ছা তার কোনোকালেই ছিলনা। তিনি তো একজন সাধারন কর্মী হতে চেয়েছিলেন মাত্র। তিনি চেয়েছিলেন কোনও সিনিয়রের নেতৃত্বাধীনে থেকে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে। সাথে তিনি এটাও বলে দেন যে, তিনি মনে করেননা যে বিজেপি কারো টাকা ফেরত নিয়ে আসতে পারবে। কারণ বিজেপি নাকি এখন আরও নানা ইস্যু নিয়ে ব্যস্ত।
আরও পড়ুন : ‘সোজা উপরে যাচ্ছিলাম…’, অনন্যার হাড়হিম করা দুর্ঘটনার অভিজ্ঞতা শুনে শিউরে উঠলেন রচনাও
এইদিন এখানেই থেমে থাকেননি এই অভিনেত্রী। বিজেপির প্রতি ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, ‘বিজেপির এজেন্ডা এখনও ক্লিয়ার নেই। আমি তো কাজ করেছি, আমি জানি। আমাদের বলে দেওয়া হত, রাজনৈতিক বিষয়ে যাওয়ার দরকার নেই, ব্যক্তিগত আক্রমণে চলে যাও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করো। এটা কোনও পার্টির পলিটিক্যাল লাইন হতে পারে? আমার মতো কর্মীদের দিয়ে বারংবার এগুলো বলানো হয়েছে। আমার মতো অনেকেই মেনে নিতে না পেরে বেরিয়ে এসেছে’।