বাংলা হান্ট ডেস্ক : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত এরকম আরও ১১ জনের নাম উঠে এসেছে বলে খবর। ন্যক্ক্যারজনক এই ঘটনার প্রতিবাদে মুখর হয়েছে গোটা রাজ্য। আর এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন বিধায়ক তথা টলিউড পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakrabarty) কণ্ঠে।
এইদিন ব্যারাকপুর সুকান্ত সদনে এনসিসির একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন রাজ। অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে যাদবপুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে রাজ বলেন, “বেশি শিক্ষিত হয়ে গেলে অনেকের মনে অহঙ্কার জন্ম নেয়। তীব্র অহঙ্কার থেকেই যাদবপুরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে আমার মনে হয়। মনে রাখতে হবে, আমি কোন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছি সেটা বড় কথা নয়, আমি কোন পরিবেশে রয়েছি সেটা দেখা জরুরি।”
স্বনামধন্য এই পরিচালকের কথায়, এই ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত। মানুষের সাথে মেলামেশা, ইয়ার্কি, আড্ডা, মজা সবই ঠিক আছে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে সেই মজা যেন কারও প্রাণহানির কারণ না হয়ে ওঠে। তার কথায়, যাদবপুর কেন, সমাজের কোনও স্তরেই ব়্যাগিংকে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন : শুটিং প্রায় শেষের দিকে! কবে মুক্তি পাচ্ছে ‘পঞ্চায়েত সিজন ৩’? প্রকাশ্যে এল দিনক্ষণ
রাজের গলায় এইদিন স্পষ্ট আক্রমণের সুর। পরিচালক তথা বিধায়ক বলেন, ‘যাদবপুরে এই ধরনের একটা বাসা তৈরি হয়েছিল। সেটা এবার প্রকাশ্যে এসেছে। এক্ষুনি এটা বন্ধ করা দরকার।’ রাজের এই মন্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করেছেন অনেকেই। সমাজের প্রতিটি মানুষই এখন চায়, বছর সতেরোর ঐ নিস্পাপ ছেলেটি যেন ন্যায় পায়।
আরও পড়ুন : লম্ফঝম্ফই সার, বক্স অফিস কালেকশনে দেবকে গুনে গুনে ১০ গোল আবিরের! মোট আয় হল কত?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সাড়া ফেলেছে রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত, ‘আবার প্রলয়’। ছবিটি নিয়ে ভালোই উন্মাদনা শুরু হয়েছে ভক্তমহলে। এমতাবস্থায় যাদবপুরের ব়্যাগিং প্রসঙ্গে সমাজে বার্তা পৌঁছে দিতে রাজ কি সিনেমা তৈরির পরিকল্পনা করছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ বলেন, “ওয়েট করুন। সময় আসলেই বুঝতে পারবেন কী তৈরি করছি!”
এদিকে যাদবপুরের ঘটনার পর সেখানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এই প্রসঙ্গে রাজকে বলতে শোনা যায়, “আমি নির্দিষ্ট কাউকে উদ্দেশ্য করে বলছি না। তবে প্রতিবাদের নিজস্ব ভাষা থাকে। কিন্তু সেখানে যেন কুকথার প্রয়োগ না হয়। যারা অহঙ্কারী তারা খারাপ কথা বলে থাকেন, সাধারণ মানুষ খারাপ কথা বলেন না। অন্যকে আঘাত করে কোন ভাষা ব্যবহার করা উচিত না। দাম্ভিক এর মত কথা বলা উচিত নয়।”