বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের তরফ থেকে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল গতকাল। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। আর সেই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঙ্গে দেখা করলেন টলিউডের একঝাঁক তারকারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আবীর চট্টোপাধ্যায়, তনুশ্রী চক্রবর্তী, মমতা শঙ্কর, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং অন্যান্যরা। গতকাল কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে এই সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর সেখানে টলিউড তারকাদের উপস্থিতি নিয়ে সরগরম রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।
সোমবার জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রুপা গঙ্গোপাধ্যায়, রাশিদ খান, আবীর চট্টোপাধ্যায় এবং অন্যান্যরা। এই অনুষ্ঠানে বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের গলায় শোনা যায় আক্ষেপের সুর। তিনি বলেন, বর্তমানে টলিউডের অবস্থা শোচনীয়। আর টলিউডের হাল ফেরাতে কেন্দ্র সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।
উল্লেখ্য, বিধানসভার নির্বাচনের আগে টলিউডে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে মরিয়া বিজেপি। আর সেই সুত্রেই বিগত কয়েকদিনে টলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা/অভিনেত্রীদের দলে টেনেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপিতে যোগ দেওয়া টলিউডের সেলেবদের মধ্যে সবথেকে অন্যতম হলেন যশ দাশগুপ্তা, হিরণ চট্টোপাধ্যায় ও রুদ্রনীল ঘোষ।
হিরণ এর আগে তৃণমূলের যুব সহসভাপতি ছিলেন। আর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। যশ কোনও দলের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের সঙ্গে ওনার ঘনিষ্ঠতা এখন সবার চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়াও গতকাল পরিচালক তথা অভিনেতা অরিন্দম শীলের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। কেন্দ্র সরকারের চলচ্চিত্র অনুষ্ঠানের আগেই অরিন্দল শীলের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির নেতা। এরপর থেকে অরিন্দম শীলকে নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা উঠেছিল। যদিও অরিন্দমবাবু নিজেই বলেন যে, তিনি রাজনীতিতে যোগ দেবেন না।