৩ বছরে আয় ২ হাজার কোটি…! মাদক পাচারের মাস্টারমাইন্ড টলিপাড়ার নামজাদা চলচ্চিত্র প্রযোজক

বাংলা হান্ট ডেস্ক : এবার মাদক পাচার কাণ্ডে নাম জড়ালো টলিউডের (Tollywood) নামকরা প্রযোজকের। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এই মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের হাতে এসেছে প্রায় ৫০ কেজি মাদকদ্রব্য তৈরির রাসায়নিক পদার্থ। এখানেই শেষ নয়, একই সাথে উদ্ধার হয়েছে মাদক দ্রব্যও। এই ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে টলিপাড়ার এই নামজাদা প্রযোজক।

সূত্রের খবর, যে তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে দফায় দফায় তাদের জেরা করা হচ্ছে। পুলিশ জেরায় উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, গত ৩ বছরে মোট ৪৫টি সিউডোফেড্রিন চালান করেছে তারা। এই ৪৫টি চালানের মধ্যে ছিল প্রায় ৩,৫০০ কিলোগ্রাম সিউডোফেড্রিন। যার বাজারদর অনুমান করলে চমকে যেতে হয় বৈকী!

পুলিশ সূত্রে খবর, কম করে হলেও ২ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি ড্রাগস বিক্রি হয়েছে মাত্র ৩ বছরে। এইদিন এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ্ঞানেশ্বর সিং বলেন, ‘এনসিবি এবং দিল্লি পুলিশ প্রায় চার মাস আগে অস্ট্রেলিয়ান এবং নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নেটওয়ার্কটি ভেঙে দিয়েছে। তারা ভারত থেকে উভয় কান্ট্রিতে শুকনো নারকেল পাউডারের মধ্যে লুকানো উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সিউডোফেড্রিন সম্পর্কে সতর্ক করেছিল।’

আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপীতে পুজো হবেই, কোনও বাধা নেই! হাইকোর্টের রায়ে মুখ পুড়ল মুসলিম পক্ষের

ডিজি আরও জানিয়েছেন, এই নেক্সাসের মাস্টারমাইন্ড একজন তামিল চলচ্চিত্র প্রযোজক। ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। পাশাপাশি সিউডোফেড্রিনের উৎস্য খোঁজার জন্যেও তৎপর হয়ে উঠেছে পুলিশ। এনসিবি এবং স্পেশাল সেলের আধিকারিকরা গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম দিল্লির বাসাই দারাপুর এলাকায় এক গোডাউনে যে অভিযান চালিয়ে ৫০কেজি সিউডোফেড্রিন উদ্ধার হয়।

আরও পড়ুন : সেনার বদলে ‘সেনা’ই! মুইজ্জুকে মাত দিতে নয়া চাল ভারতের, দিল্লির কূটনীতির কাছে পর্যুদস্ত মালদ্বীপ

সিউডোফেড্রিন কী? 

সিউডোফেড্রিন একটি রাসায়নিক এবং এটি মেথামফেটামিন তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। এর চাহিদা সারা বিশ্বেই। NCB সূত্রে খবর, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে প্রতি কেজি প্রায় ১.৫ কোটিতে বিক্রি হয় এই ড্রাগ। যদিও এর কিছু আইনগত ব্যবহার রয়েছে তবুও ভারতে এটি একপ্রকার নিষিদ্ধ। সরকারের অনুমতি ছাড়া এই ড্রাগ ব্যবহার করা যায়না। এই ড্রাগের অবৈধ ব্যবহারের শাস্তি ১০বছরের কারাদণ্ড।


Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর