বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এ বার আসতে চলেছে ভারতে। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য ভারতের দরজা খুলছে। ইউজিসি-র নতুন ড্রাফট রেগুলেশনে (UGC Foreign University Bill) এই খবর জানানো হয়েছে। গত ৫ জানুয়ারি জনসমক্ষে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বিল আনে ইউজিসি। এই বিলের মাধ্যমে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি শর্তসাপেক্ষে ভারতে তাদের ক্যাম্পাস খুলতে পারবে।
প্রাথমিক ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ১০ বছরের জন্য ক্যাম্পাস খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। পাঠ্যসূচীও চালাতে হবে অফলাইনে। এই সংক্রান্ত একটি বিলের ড্রাফট জনসমক্ষে এনে সকলের মতামত চেয়েছে ইউজিসি। সংসদে এই বিল পাস হলে একটি আইনে পরিণত হবে। এর মাধ্যমে আমেরিকা, ব্রিটেন, ইউরোপ ও চিনের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ভারতে তাদের ক্যাম্পাস খুলবে।
সরকারের আশা, এর ফলে এ দেশে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসও খুলবে। এর ফলে একাধিক লাভ হবে ভারত ও ভারতীয় ছাত্রদের। মূলত ছ’টি দিক থেকে ভারতকে সুবিধা দেবে এই পদক্ষেপ।
১। ভারতে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় হলে পড়ার খরচ অনেকটাই কমবে প্রধান ক্যাম্পাসে পড়ার খরচের তুলনায়। যদিও ইউজিসি-র বিলে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ক্যাম্পাসে পড়ার খরচ ঠিক করতে পারবে। কিন্তু বিদেশের তুলনায় খরচ অনেকটাই কমার একটি সম্ভাবনা রয়েছে।
২। ভারতে বহু প্রতিভাবান পড়ুয়া রয়েছে। কিন্তু বিদেশে পড়ার খরচ জোগাতে পারে না তাঁরা। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ভারতে এলে তাঁদের স্বপ্নপূরণ হবে। ফলে আরও বেশি প্রতিভা পাবে দেশ।
৩। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে এলে শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মী নিয়োগ হবে। ফলে ভারতের শিক্ষক ও যুব-সম্প্রদায়ের চাকরির সুযোগ বাড়বে।
৪। ভারতীয় পড়ুয়া ছাড়াও বিদেশ থকেও প্রচুর পড়ুয়া ভারতে এসে পড়তে চাইবে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। এশিয়ার দেশগুলির থেকে পড়ুয়ারা এসে এখানে পড়ার সুযোগ বেশি। ফলে ভারতে বিদেশি পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়বে। যার জন্য সরকারের আয় তো হবেই। পাশাপাশি, দেশের শিক্ষাব্যবস্থারও উন্নতি ঘটবে।
৫। ভারতে বিদেশি পড়ুয়াদের সংখ্যা বাড়লে গবেষণার কাজও বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি আন্তঃসাংস্কৃতিক বিনিময়ও বাড়বে। আন্তর্জাতিক স্তরে একটি প্রতিষ্ঠানের র্যাঙ্কিংয়ের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই মনে করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের র্যাঙ্কিংয়ের উন্নতি হবে।
৬। বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ভারতে ক্যাম্পাস খুললে স্বদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও তাদের পঠনপাঠনের মান উন্নত করার চেষ্টা করবে। কারণ প্রতিযোগিতা থাকবে।