বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ বাংলায় বিক্ষিপ্তভাবে শুরু হতে পারে বৃষ্টি, রয়েছে টর্নেডো এবং বজ্রপাতের সম্ভাবনাও একথা আগেই জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আবহাওয়াবিদদের অনুমানকে সত্যি করেই প্রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সাগরদ্বীপের কাছে হুগলি নদীতে দেখা গেল টর্নেডো। স্থানীয় সূত্রের খবর নদীর ওপরেই ঘূর্ণাবর্তের আকারে পাক খেতে থাকে জলস্তম্ভ। নদীর বুক থেকে থেকে ক্রমশ তা তীরের দিকে এগিয়ে আসছিল। তবে শেষপর্যন্ত নদীর বুকেই মিলিয়ে যায় এই ঘূর্ণি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে ইয়াস প্রবেশের আগে এমনই এক ঘূর্ণিঝড় দেখা গিয়েছিল হুগলি জেলার ব্যান্ডেলে। মাত্র ২ মিনিট স্থায়ী হয়ে তা ধীরে ধীরে চলে গিয়েছিল হালিশহরের দিকে। তবে তার মধ্যেই বিপুল ক্ষতি করে দিয়ে যায় এই ছোট্ট টর্নেডোটি। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিলেন তাপমাত্রায় হঠাৎ বড়োসড়ো হেরফের হলে এ ধরনের টর্নেডো তৈরি হয়। আজ একই ঘটনা ঘটল দক্ষিণ ২৪ পরগনা সাগর দ্বীপেও। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রায় আধ ঘন্টার উপর নদীর বুকে অবস্থান করছিল ওই টর্নেডোটি। ক্রমশ তা এগিয়ে আসতে থাকে পাড়ের দিকে। যার জেরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। শেষ পর্যন্ত নদীর বুকে, টর্নেডোটি মিলিয়ে যাওয়াও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন এলাকাবাসী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগেই ২৮ মে অশোকনগর এলাকায় তৈরি হয়েছিল একটি টর্নেডো। যার জেরে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল প্রায় দশটি ঘরবাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে ক্ষতি হয়েছিল বেশকিছু গৃহপালিত পশুর। আবহাওয়ার পূর্বাভাস মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল জেলা প্রশাসনকে। মৎস্যজীবীদের নদী এবং সমুদ্রে যেতেও নিষেধ করা হয়েছিল। কারণ আজ রয়েছে আমাবস্যার ভরা কোটাল। তার জেরে জলস্তর আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে মাইকিং। তবে তার মধ্যেই কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে হঠাৎ এ ধরনের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকাবাসী।