বাংলাহান্ট ডেস্ক : নারী নির্যাতনের ঘটনায় যখন দেশের নানা প্রান্তে চাঞ্চল্য তৈরি হচ্ছে, ঠিক সেই মুহুর্তে দাঁড়িয়ে পুরুষরাও যে গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হতে পারেন এমন ঘটনা হয়তো অনেকেই ভাবতে পারেন না। তবে এবার তেমনই একটি যুবকের আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল বাংলাতেই। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে আত্মঘাতী হলেন কালনার মন্তেশ্বর থানা এলাকার উত্তরপাড়া গ্রামের এক যুবক। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত ব্যক্তির নাম নানু পোড়েল। তার দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ কালনা মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর ১৫ আগে কাটোয়ার শিখা পোড়েলের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কালনার মন্তেশ্বর এলাকার বাসিন্দা নানু পোড়েল। বর্তমানে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। প্রথমদিকে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিষয় নিয়েই বাড়তে থাকে সাংসারিক জটিলতা। ক্রমশ চরমে ওঠে অশান্তি।
গতবছর পাড়ার একটি যুবকের সাথে নানুর স্ত্রী শিখা পালিয়ে গেলেও সন্তানদের টানেই ঘরে ফেরেন শিখা। মান অভিমান ভুলে পুনরায় তাকে নিয়ে সংসার শুরু করেন নানু। অভিযোগ এরপর থেকেই নানুর উপর শুরু হয় অত্যাচার। কখনো কখনো স্বামীর গায়ে হাত তুলত স্ত্রী শিখা। এমনকি শিখা তার শাশুড়ির উপরও অত্যাচার করতো বলে জানা গিয়েছে।
দিন তিনেক আগে সেই অশান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। এরপরেই শিখার বাড়ির লোকজন এসে নানুর উপর অত্যাচার শুরু করে। শিখা ও তাঁর ছেলে মেয়েকে নিয়ে চলে যায় তারা। এরপর থেকেই মানসিক অশান্তিতে ভুগতে শুরু করে নানু। গতকাল বাজারে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সে আর ফেরেনি। পরিবার সূত্রে খবর, অপমান সহ্য করতে না পেরে মন্তেশ্বর থানার অন্তর্গত উত্তরপাড়া এলাকার একটি পুকুর পাড়ে বটগাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে নানু। আজ তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মন্তেশ্বর থানার পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।