বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ঘুষ চাওয়ার ঘটনায় তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। সাম্প্রতিক সময়ে কোথাও ঘুষ নিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে, আবার একাধিক ক্ষেত্রে চাকরির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ-এর ঘটনা উঠে এসেছে। সেই ধারা বজায় রেখে এবার পূর্ব বর্ধমানের (Burdwan) মেমারি এলাকা থেকে একই অভিযোগ সামনে উঠে এলো। পীড়িত ব্যক্তি দ্বারা বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করার পর এ ঘটনাটি সামনে আসে, যার দরুণ বর্তমানে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।
বর্ধমান জেলার মেমারির দুর্গাপুর পঞ্চায়েত এলাকা থেকে বর্তমানে গুরুতর অভিযোগ সামনে এসেছে। এ ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী এবং পঞ্চায়েত সদস্যর জড়িত থাকার খবর মিলেছে। তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ৫৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে, পরবর্তীতে যা ফেরত পাওয়ার কোন রকম আশা না দেখেই বিষ পান করে বসে পীড়িত ব্যক্তি। ইতিমধ্যে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পেশায় টোটো চালক এক ব্যক্তি তার স্ত্রীয়ের জন্য আশা কর্মীর চাকরি খুঁজতে তৎপর হয়ে ওঠে। সেই সময় দুর্গাপুর পঞ্চায়েতের গ্রাম সম্পদ কর্মী শুভঙ্কর মজুমদার তাকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫৫ হাজার টাকা নেন বলে অভিযোগ। তবে পরবর্তীতে চাকরি মেলেনি। বরং ঋণ নিয়ে টাকা জোগাড় করার কারণে তা শোধের জন্য চাপ বাড়তে থাকে টোটো চালকটির ওপর। পরবর্তীতে কোন রাস্তা না পেয়ে বিষ পান করে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে ওই ব্যক্তি। এরপরই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ননজ একইসঙ্গে মনিকা রায় নামে পঞ্চায়েত সদস্যও এ ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ।
গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে পীড়িত ব্যক্তি জানান, “আশা কর্মীর চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫৫ হাজার টাকা নেয় শুভঙ্কর মজুমদার। একই সঙ্গে মনিকা নামে এক পঞ্চায়েত সদস্য আরো কয়েকজনের কাছ থেকে টাকাও তোলায়। এখন টাকা ফেরত না দেওয়ায় কোনরকম রাস্তা খুঁজে না পেয়ে বিষ পান করি।” তবে যাদের বিরুদ্ধে এ সকল অভিযোগ, তারা এ ঘটনার পিছনে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’-র বিষয়টিকে সামনে এনেছেন। তাদের দাবি, “যে ব্যক্তি বর্তমানে অভিযোগ করে চলেছেন, তার সাথে আমাদের কোন রকম সম্পর্ক নেই। এটা এক প্রকার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। কাউকে চাকরি দেওয়ার মতো কোনো রকম যোগ্যতা নেই স।আমাদের।” প্রশাসনে তরফ থেকে অবশ্য সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।