বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাঙালির কাছে পাহাড় ভ্রমণ মানেই দার্জিলিং (Darjeeling)। পাহাড়ের রানী চিরকাল তার মায়াজাল বিস্তার করে রেখেছে পর্যটকদের জন্য। সেই অমোঘ পাহাড়ি টানে প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক ঘুরতে যান দার্জিলিং। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর দার্জিলিংয়ে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা মনে করছেন এবার পুজোয় রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হতে পারে। ট্রেন-হোটেল-রিসর্টের বুকিং দেখে এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে। দার্জিলিংয়ে পাহাড় ভ্রমণ মানেই আমাদের চোখের সামনে যেমন ভেসে ওঠে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য, তেমনই আরেক দিকে থাকে টয় ট্রেনে জয়রাইড। খুব শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে ট্রয়ট্রেনের সময়সূচী।
আরোও পড়ুন : টলিউডের একমাত্র কাশ্মীরি পণ্ডিত অভিনেতা ভরত কল হয়ে গেলেন কোটিপতি! ঠিক কী ঘটেছে?
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (ডিএইচআর) সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুজোয় টয় ট্রেনে জয়রাইডের সংখ্যা বৃদ্ধি করার। ডিএইচআর-এর ডিরেক্টর প্রিয়াংশু বলেছেন, বর্তমানে আটটি জয়রাইড চালু রয়েছে দার্জিলিং-ঘুম রুটে। অতিরিক্ত পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে আগামী ১৫ই অক্টোবর থেকে জয়রাইডের সংখ্যা আরো চারটি বৃদ্ধি করা হবে।
আরোও পড়ুন : ‘মা তোমার এত রূপ…’ গানে এবার মাতবে বাংলার পুজো প্যান্ডেল, স্পেনে বসেই লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানাচ্ছেন, টয় ট্রেনের জনপ্রিয়তা আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই টয় ট্রেনে বেড়েছে যাত্রী সংখ্যা। টয় ট্রেনে মোট ১ লক্ষ ৫৬ হাজার যাত্রী হয়েছিল গত আর্থিক বছরে। ১৯ কোটি ২১ লক্ষ টাকা আয় হয়েছিল। এই বছরে আয় বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছে।
কয়েক বছরে টয় ট্রেনের জনপ্রিয়তা বেশ বৃদ্ধি হয়েছে। প্যাসেঞ্জার টয় ট্রেন চলে এনজিপি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত। সেই ট্রেনে অনেকটাই সময় লেগে যায় দার্জিলিং পৌঁছাতে। তাই অনেকেই পছন্দ করেন টয় ট্রেনের জয়রাইড। ছোট্ট এই ট্রেন করে পাহাড়ের মন ভোলানো দৃশ্য দেখতে দেখতে ট্রেনে ভ্রমণ করার আনন্দটাই আলাদা।