বাংলাহান্ট ডেস্ক : দার্জিলিং, এই নামটার সাথে বাঙালির নানান ধরনের স্মৃতি জড়িয়ে। ছোট বেলায় বাবা মার হাত ধরে হোক কিংবা বিয়ের পর প্রিয় মানুষটার কাঁধে মাথা রেখে দার্জিলিং ভ্রমণ মানেই একগুচ্ছ স্মৃতি আর কিছু ভালো মুহূর্তের রেশ। দার্জিলিং ভ্রমণ মানেই কাঞ্চনজঙ্ঘার অপূর্ব দৃশ্য, সাথে পাহাড়, তিস্তা নদী, টাইগার হিল এবং অবশ্যই টয়ট্রেন।
দার্জিলিংয়ের আকর্ষণ ট্রয়ট্রেন:
দার্জিলিং এর মুকুটে একটি উজ্জ্বল রত্ন হল এই টয় ট্রেন। অনেক পর্যটক চারচাকা কিংবা বাসে করে দার্জিলিং যান। কিন্তু অনেক পর্যটকের দার্জিলিং যাওয়ার জন্য প্রথম পছন্দ থাকে টয়ট্রেন। যারা পাহাড়ের প্রতিটা রন্ধ্রের স্বাদ পুরোদমে উপভোগ করতে চান তারা ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে টয়ট্রেনে করে অপূর্ব দৃশ্য দেখতে দেখতে পাড়ি জমান দার্জিলিঙে।
আরোও পড়ুন : মন্দিরে আরতি হতে পারলে, মাইকে আজান বন্ধ কেন! লাউডস্পিকার বন্ধের আর্জি খারিজ হাইকোর্টের
রাতেও চলবে ট্রয়ট্রেন :
এনজিপি থেকে টয় ট্রেন মূলত সকালবেলা রওনা দেয় দার্জিলিং কিংবা কালিম্পং এর উদ্দেশ্যে। তবে পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল হিমালায়ন রেল। সামনেই রয়েছে ঘুম ফেস্টিভাল। এই ফেস্টিভালের আগে রেলওয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল টয় ট্রেনকে কেন্দ্র করে। এবার থেকে রাতেও চলাচল করবে টয় ট্রেন।
আরোও পড়ুন : হুগলির দুই গ্রামে যেন অকাল দিপাবলী! সন্তানরা সুরঙ্গ থেকে বেরোচ্ছে শুনেই মা বাবারা যা করলেন….
কতদিন মিলবে পরিষেবা:
এই বিশেষ পরিষেবা শুরু হতে চলেছে আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে। ঘুম ফেস্টিভ্যালও শুরু হবে ডিসেম্বর মাসে। এই উৎসব ডিসেম্বরের ১০ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এই উৎসবের কথা মাথায় রেখে রেল কর্তৃপক্ষ রাতে টয় ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সব মিলিয়ে বলা যায়, আমজনতার এক্কেবারে সোনায় সোহাগা।
রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের বক্তব্য:
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, ঘুম উৎসব উপলক্ষে প্রচুর পর্যটক পাহাড়ে ভিড়ে জমান। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে রাতেও টয় ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছে হিমালয়ান রেলওয়ে।