হুগলির দুই গ্রামে যেন অকাল দিপাবলী! সন্তানরা সুরঙ্গ থেকে বেরোচ্ছে শুনেই মা বাবারা যা করলেন….

বাংলাহান্ট ডেস্ক : হুগলির পুরশুড়ার হরিণখালির বাসিন্দা লক্ষ্মী পাখিরার গত ১৭ টা দিন কেটেছে উৎকণ্ঠায়। কাজ করতে গিয়ে সুরঙ্গে আটকে গেছে ছেলে। একদিকে যখন গোটা দেশ প্রার্থনা করছে সুরঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের জন্য, অন্যদিকে লক্ষ্মী দেবীর প্রত্যেকটা মুহূর্ত কেটেছে আতঙ্কে। গতকাল যখন সুরঙ্গ থেকে উদ্ধার করা হল ছেলেকে, তখন অবশেষে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন লক্ষী দেবী।

সৌভিকের অবস্থা:

সুখবর শোনার পরই ছুটে গেলেন পাড়ার শিব মন্দিরে পুজো দিতে। উত্তরকাশির সুরঙ্গ থেকে যে ৪১ জন শ্রমিককে কাল উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন লক্ষ্মী এবং অসিত পাখিরার ছোট ছেলে সৌভিক। উদ্ধার হওয়ার পর সৌভিকের কথা হয় পরিবারের সাথে।  ফোনে সৌভিক জানান তার শারীরিক কোনও সমস্যা নেই।

আরোও পড়ুন : ‘আজ বাধা দিলে উচিত শিক্ষা দেব’, শাহি সভার আগে তৃণমূলকে কড়া হুঁশিয়ারি সুকান্তর

সৌভিকের মায়ের বক্তব্য:

দীর্ঘদিন প্রতীক্ষার পর ফোনে ছেলের কণ্ঠস্বর শোনার পর লক্ষী দেবী বলেন,  জয় ভোলেবাবার জয়। শিব ঠাকুরকে আমি সব সময় বলি ওকে আমার সব শক্তি দিয়ে দাও। আজ কথা বলার পর মনে হচ্ছে একটা পাথর নেমে গেল বুক থেকে। ছেলে জানিয়েছে ও ঠিক আছে। সৌভিকের দাদাও ভিন রাজ্যে কর্মরত।

আরোও পড়ুন : বদলে যাবে IPL-এর রূপরেখা, এই বিশেষ কারণে MI ছেড়ে গম্ভীরের KKR শিবিরে যোগ দেবেন রোহিত!

জয়দেবের মুক্তিলাভ:

বাড়ি এলে লক্ষী দেবী দুই ছেলের যত্নে ত্রুটি রাখেন না। শেষবার সৌভিক বাড়ি এসেছিল পুজোর সময়। বাড়ি ফিরলে সৌভিকের মা তার ছেলেকে নিজের হাতে রান্না করে প্রিয় খাবারগুলো খাওয়াতে চান। সৌভিকের মতোই এদিন সুরঙ্গ থেকে মুক্তি লাভ করেছেন হুগলিরই নিমডাঙ্গির বাসিন্দা জয়দেব পরমাণিকও।

img 20231129 115348

জয়দেবের বাবার মন্তব্য:

সুরঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসার পর জয়দেব ফোন করেন বাড়িতে। ফোনে বাবা মাকে তিনি জানান যে ভালো আছেন। এরপর জয়দেবের গ্রামের বাসিন্দারা আনন্দে ফেটে পড়েন। শুরু হয় বাজি ফোটানো। জয়দেব পরমাণিকের বাবা তাপস পরমাণিক জানিয়েছেন, ফোনে ছেলে জানিয়েছে সে ভালো আছে। আমাদের ঠিক করে খেতে ও ঘুমাতে বলেছে। আমাদের সবার গর্ব জয়দেব। সরকারকে ধন্যবাদ।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর