লকডাউনে এই বছরের অনেকেরই ঘুরতে প্ল্যান বাতিল হয়েছে। লকডাউন উঠে ট্রেন চালু হওয়ার সাথে সাথেই অনেকে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েছেন। বাঙালির প্রিয় দীপুদা (দীঘা পুরী দার্জিলিং) যাওয়ার প্ল্যান রয়েছে অনেকেরই। যারা দার্জিলিং (darjeeling) যাওয়ার প্ল্যান করছেন তাদের জন্য ভারতীয় রেল (indian railway) দিল এক দারুন সুখবর। দীর্ঘ ৯ মাস বন্ধ থাকার পর বড়দিনে চালু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী টয়ট্রেন (toy train)।
১৮৭৯ থেকে ১৮৮১ সালের মধ্যবর্তী সময়ে নির্মিত এই রেলপথের দৈর্ঘ্য ৮৬ কিলোমিটার (৫৩ মাইল)। এর উচ্চতার মাত্রা শিলিগুড়িতে ১০০ মিটার (৩২৮ ফুট) এবং দার্জিলিঙে ২,২০০ মিটার (৭,২১৮ ফুট)। আজও এটি বাষ্পচালিত ইঞ্জিনে চলে। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো দার্জিলিং হিমালয়ান রেলকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে। ২০০৫ সালে নীলগিরি পার্বত্য রেলকেও এর সঙ্গে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করা হয়
মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে করোনার মহামারী ছড়িয়ে পড়ায় লকডাউন ঘোষনা হয়েছিল গোটা দেশজুড়ে। ভারতীয় রেলের অন্যান্য শাখার মতো বন্ধ হয়ে যায় টয়ট্রেনও। মনে করা হচ্ছে টয় ট্রেন পরিষেবা শুরুর পরে এখানে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে যা স্থানীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। জানিয়ে রাখি, মূলত পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় লকডাউনের পর থেকে এখানকার অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (ডিএইচআর) প্রশাসন দুই মাস আগেই টয় ট্রেন পরিষেবা শুরু করতে প্রস্তুত হয়েছিল। এজন্য জেলা প্রশাসনকেও অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে অনুমতি চেয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু অনুমোদন না পাওয়ায় টয় ট্রেন পরিষেবা চালু করা সম্ভব হয়নি।