বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল ওড়িশার (Odisha) বালেশ্বরের (Balasore) কাছে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Coromandel Express) দুর্ঘটনার জেরে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা। ক্রমশ্যই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে পরিস্থিতি। জোর তৎপরতায় চলছে উদ্ধার কাজ। ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার করতে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ শুরু করেছে সেনাও।
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৮০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। পাশাপাশি আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০০। চারিদিকে মৃত্যু মিছিল। দুর্ঘটনার কবলে পড়া করমণ্ডল এক্সপ্রেসে মৃতদের মধ্যে এ রাজ্যের অনেকে থাকতে পারেন বলেই আশঙ্কা রয়েছে। সেই রকমই বর্ধমানের (Bardhaman) এই পরিবার একজনকে হারাল ট্রেন দুর্ঘটনায়, একজনের ফিরল প্রাণ। বাবা নিজ মুখে দিলেন ছেলের মৃত্যু সংবাদ।
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার করুই গ্রাম থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে মোট ১০ জন মিলে রওনা দিয়েছিলেন কেরলের উদ্দেশে। প্রথমবারের জন্য ১৮ বছরের ছেলে ছোট্টু সর্দারকে নিয়ে কাজের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন বাবা। তবে তিনি ফিরে এলেও ফেরাতে পারলেন না ছেলেকে। নিজেই ফোন করে পরিবারকে জানিয়েছেন ছেলের মৃত্যু সংবাদ। পাশাপাশি তার সঙ্গীদেরও কোনও খোঁজ মেলেনি এখনও পর্যন্ত।
রেলসূত্রে খবর, হামসফরের দু’টি কামরা লাইনচ্যুত হওয়ার কারণেই এতবড় দুর্ঘটনা। প্রসঙ্গত, বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস, ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি দুর্ঘটনায় কবলে পড়ে। একই লাইনে ছিল হাওড়াগামী যশবন্তপুর এক্সপ্রেসও। লাইনচ্যুত হয়ে যায় এক্সপ্রেস ট্রেন করমণ্ডলের ১৫ টি বগি। মুহূর্তে তছনছ হয়ে যায় সব। বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের দুটি বগিও লাইনচ্যুত হয়।
শুক্রবার রাতেই দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্র সরকার। নিহতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ এবং তুলনামূলকভাবে কম আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্য করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।