বড় দুর্ঘটনা এড়িয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন মানুষের! শিয়ালদহ ডিভিশনের ট্রেনচালক পেলেন বিশেষ পুরস্কার

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে দেশের (India) বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) খবর সামনে আসছে। এমতাবস্থায়, ওই দুর্ঘটনাগুলির প্রসঙ্গে চালকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। যদিও, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একজনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি তাঁর অনবদ্য দক্ষতার মাধ্যমে এড়িয়ে যেতে পেরেছেন বড় ধরণের দুর্ঘটনা। আর সেই সাহসী পদক্ষেপের কারণেই তিনি রেলমন্ত্রীর কাছ থেকে পেয়েছেন পুরস্কারও।

মূলত, আজ আমরা আপনাদের শিয়ালদহ-লালগোলা প্যাসেঞ্জার (০৩১৯০) ট্রেনের সহকারী চালক আমন আনন্দের বিষয়ে জানাবো। যিনি, বিপদ বুঝে দেরি না করে তৎক্ষণাৎ আপৎকালীন ব্রেক কষে লেভেল ক্রসিং দিয়ে রোগী নিয়ে পেরিয়ে যাওয়া একটি অ্যাম্বুল্যান্সের সাথে সংঘর্ষ এড়িয়ে যান।

Train driver of Sealdah division received special award

ঠিক কি ঘটেছিল: গত ২১ জুন নদিয়ার দেবগ্রাম স্টেশনে ঢোকার মুখে রাতের অন্ধকারে গেট খোলা লেভেল ক্রসিং দিয়ে একের পর এক গাড়িকে যাতায়াত করতে দেখেন আমন। অথচ ট্রেনের অনুকূলে সিগন্যাল থাকায় এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করে অবাক হয়ে যান তিনি। মুহূর্তের মধ্যে বিপদের আঁচ বুঝতে পেরে তিনি আপৎকালীন ব্রেক কষেন। যার ফলে স্টেশনে ঢোকার মুখে নিশ্চিত দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় লেভেল ক্রসিং দিয়ে রোগী নিয়ে পেরিয়ে যাওয়া একটি অ্যাম্বুল্যান্স।

আরও পড়ুন: গিরগিটির মতো রঙ বদলায় আম্বানির গাড়িও! চোখের পলকে সবুজ থেকে হয়ে গেল বেগুনি, ভাইরাল ভিডিও

এমতাবস্থায়, সম্প্রতি রেলমন্ত্রীর কাছ থেকে বিশেষ সম্মান পেয়েছেন আমন। দিল্লিতে তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০১৩ সাল থেকে কাজ শুরু করেন আমন। পাশাপাশি তিনি সহকারী চালকের দায়িত্ব পান ২০১৬ সালে। এদিকে, ওই বছরই তিনি শান্টিং এবং পরের বছর মালগাড়ি চালানোর দায়িত্ব পান।

আরও পড়ুন: ফের মুখ ঢাকবে মাস্কে! কেরালার পর এই দুই রাজ্যে দাপট দেখাচ্ছে নয়া ভেরিয়েন্ট, এখনই হয়ে যান সতর্ক

অতঃপর ২০২২ সাল থেকে যাত্রিবাহী ট্রেন চালানোর দায়িত্ব পালন করছেন আমন। আর এই অল্প সময়ের মধ্যেই নতুন চালক হয়েও কাজের ক্ষেত্রে সতর্ক থেকে মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন তিনি। আর সেই কারণেই তিনি পেয়েছেন অতি বিশিষ্ট সেবা পুরস্কার।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর