বাংলাহান্ট ডেস্ক : অবৈধভাবে সমুদ্রপথ পেরিয়ে মালয়েশিয়া (Malyasia) যাওয়ার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রলারডুবি হয়ে মৃত্যু হল আবারও। বাংলাদেশের (Bangladesh) কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩৫ জন রোহিঙ্গা-সহ মোট ৩৯ জনকে। টেকনাফ কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মহম্মদ আশিক আহমেদ জানান, মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের হরমুনিয়া পাড়া এলাকার উপকূলবর্তী গভীর সাগরে ট্রলারডুবির এই ঘটনা ঘটে। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশি বলে জানা যাচ্ছে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার সকালে ট্রলারটি যাত্রীবোঝাই করে নিয়ে সমুদ্র পেরিয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ার দিকে যাচ্ছিল। সকলেই রোহিঙ্গা নাগরিক (Rohingya) বলে জানা গিয়েছে। তবে সংখ্যায় তারা ঠিক কতজন ছিল, তা এখনও জানা যায়নি। সমুদ্রে ঢেউয়ের ধাক্কায় আচমকাই ডুবে যায় ট্রলারটি (Traller)। সমুদ্রে ভাসতে থাকেন রোহিঙ্গারা। কাছেপিঠে থাকা মাছ ধরার ট্রলারগুলির সাহায্য চেয়েও পাননি তাঁরা।
কক্সবাজার (Cox’s Bazar) টেকনাফের কোস্টগার্ডের বাহারছড়া আউটপোস্ট স্টেশনের তরফে আধিকারিক মহম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ‘মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে গভীর সাগরে রোহিঙ্গাদের বহনকারী ট্রলারটি ডুবে যায়। রোহিঙ্গারা সাগরে ভাসতে থাকে। মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকার জেলেদের সহায়তা চেয়েও তারা প্রথমে পাননি। পরে অবশ্য জেলেদের ছুঁড়ে দেওয়া বয়া ও জলের জারের সাহায্যে সাঁতরে কিছু রোহিঙ্গা তীরে উঠে আসেন।’ তবে এখনও অনেকে সাগরে ভাসছেন বলেই জানা যাচ্ছে।
এখনও যেসব রোহিঙ্গারা সাগরে ভাসছে, তাদের দ্রুত উদ্ধার করা না গেলে প্রাণহানি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মহম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, ভাসমান রোহিঙ্গাদের উদ্ধারের তৎপরতা চলছে। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে রয়েছে পাঁচ মহিলা, বাকি সকলেই পুরুষ। সম্ভবত এরা সকলেই টেকনাফের শিবিরেই থাকত। সেখান থেকে মালয়েশিয়া পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি চর কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যাচ্ছে।