বাংলাহান্ট ডেস্ক : নভেম্বরে হালকা শীতের আমেজ জাঁকিয়ে বসেছে শহরে। এই হালকা ঠাণ্ডা গায়ে মেখে অনেকে ঘুরতে (Travel) যাওয়ার পরিকল্পনা করে রাখেন। কাছাকাছির মধ্যে কম খরচে পাহাড়, অরণ্যের আনন্দ নিতে চান তবে এই জায়গার খোঁজ করেন তবে ঢুঁ মারতে পারেন।
শীতের ছুটিতে ঘুরে (Travel) আসুন বিসিন্দা থেকে
কলকাতা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে রয়েছে এক দারুণ গন্তব্যস্থল। এখানে রয়েছে পাহাড়, জঙ্গল সঙ্গে বয়ে চলা নদীও। কলকাতার কাছেই বাঁকুড়া। আর বাঁকুড়া শহর থেকে মাত্র ৩০ কিমি দূরেই রয়েছে বিসিন্দা পাহাড়। ওই পাহাড়ের চূড়ায় উঠলেই এক নিমেষে মন ভালো হয়ে যেতে বাধ্য। যতদূর চোখ যাবে, মনে হবে যেন সবুজ গালিচা বিছিয়ে রেখেছে কেউ। চাষজমি, গাছপালা নিয়ে রুক্ষতার মাঝেই এখানে প্রকৃতি নিজের মনোরম রূপটা তুলে ধরেছে।

রয়েছে দেবীর থান: শুধু প্রাকৃতিক শোভা নয়। ধর্মপ্রাণ মানুষদের জন্য এই পাহাড়েই রয়েছে দেবী নাচনচণ্ডীর থান, যা একটি দর্শনীয় স্থানও (Travel) বটে। বিসিন্দা পাহাড় বা টিলার চূড়ায় উঠতে গা বেয়ে রয়েছে ধাপে ধাপে সিঁড়ি। ওই সিঁড়ি বেয়ে উঠলেই প্রথমে পড়বে হনুমানের মূর্তি, তারপর শিবলিঙ্গ। দেবী নাচনচণ্ডীর থানে পৌঁছাতে আরও কিছু সিঁড়ি ভাঙতে হবে। তেঁতুলগাছের নীচে দেবীর অধিষ্ঠান। দেবীর ছোট পাথুরে বিগ্রহের পাশে অসংখ্য সিঁদুর লেপা মাটির ঘোড়া।
আরও পড়ুন : বাটা মশলা দিয়ে বানান মটন রেজালা, থালা চেটে খাবে সবাই
কীভাবে যাবেন: নাচনচণ্ডীর মন্দির পর্যন্তই রয়েছে সিঁড়ির ব্যবস্থা। এরপর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পায়ে চলা পথ পৌঁছে দেবে সোজা পাহাড়ের চূড়ায়। কলকাতা থেকে প্রায় ২০৪ কিমি দূরেই এই বিসিন্দা পাহাড়। ছোটখাটো উইকেন্ড ট্রিপের জন্য আদর্শ। গাড়িতে গেলে সময় লাগবে ঘন্টা পাঁচ ছয়েক। তবে বাঁকুড়া স্টেশন পর্যন্ত এসে গাড়ি ভাড়া করেও পৌঁছানো যায় গন্তব্যে।
আরও পড়ুন : শীতের সন্ধ্যায় হালকা খিদে? বাড়িতেই বানান দোকানের মতো মুচমুচে ফুলকপির পকোড়া, রইল স্পেশাল টিপস
তবে এখানে থাকার একটু অসুবিধা হতে পারে। বিসিন্দা পাহাড়ে থাকার একটিই জায়গা রয়েছে। পাহাড়ের নীচে রয়েছে একটি অতিথি নিবাস, খুবই সাধারণ মানের। এখানে থাকার ইচ্ছা থাকলে আগে থেকে বুকিং করে নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।












