শহরের নতুন আকর্ষণ! কলকাতায় একই সঙ্গে দক্ষিণ ভারত, জাপান, রাজস্থানের ছোঁয়া

Published on:

Published on:

Travel the citys new attraction a touch of South India, Japan, and Rajasthan all at once in Kolkata

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সামনেই পুজো। ইতিমধ্যে অনেকেই ঘুরতে যাওয়ার প্লান করছেন। তবুও ছুটির দিনে সামনা সামনি ঘুরতে যেতে কার না ভালো লাগে বলুন। কিন্তু কোথায় যাবেন ভাবছেন তো? ঘুরতে যেতে পারেন কলকাতার এই তিনটি জায়গায় (Travel)। সেখানে গেলে আপনার সময় নিমেষে কেটে যাবে। পাশাপাশি মন আপনার ভালো হবেই। আজকের প্রতিবেদনে রইল সেই সমস্ত জায়গায় কথা।

দূরে যাওয়ার দরকার নেই, সপ্তাহের শেষে ঘুরে আসুন এই ৩ টি জায়গা থেকে (Travel)

সপ্তাহান্তে ঘুরতে যেতে মন চায় সকলের। কিন্তু কোথায় যাবেন তার ভেবে উঠতে পারছেন না‌। অল্প সময়ে বাড়িতে থেকে একদিনের জন্য ঘুরতে যেতে পারেন এই জায়গা গুলোতে (Travel)।

বৈকুণ্ঠ মন্দির: ছুটির দিনে ঘুরতে যেতে পারেন বৈকুণ্ঠ মন্দির। এতে অবস্থিত গণেশ টকিজ এর কাছে। মুল ডাক দিয়ে প্রবেশ করলে চোখে পড়বে উন্মুক্ত পাথরের তৈরি বাধানো অঙ্গন। নিখুঁত শিল্পীর দক্ষতায় তৈরি হয়েছে এই মন্দিরটি। এই মন্দিরটির ভেতরে মার্বেলের দারুন কারুকার্য করা। এই মন্দিরটি ভোর ৫টা থেকে সকাল ১১ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। আবার বিকেল ৪:১৫ থেকে সন্ধ্যা ৮:৩০ অব্দি পর্যন্ত খোলা থাকে।

কীভাবে যাবেন?

গিরিশ পার্ক (Girish Park) মেট্রো স্টেশনের নেমে। সেখান থেকে কিছুটা হাঁটা পথ। জায়গাটি জোড়াসাঁকোর সামনে।

Travel the citys new attraction a touch of South India, Japan, and Rajasthan all at once in Kolkata

আরও পড়ুন: বদহজম কমাতে কারি কারি গ্যাসের ওষুধ খাচ্ছেন? আরাম পেতে ভরসা রাখুন ঘরোয়া টনিক গুলোতে

জাপানি টেম্পল: কলকাতার খুব জনপ্রিয় একটু পর্যটন কেন্দ্র ইকোপার্ক। সেখানেই রয়েছে জাপানিজ গার্ডেন। সেখানে সাজানো রয়েছে জাপানি শৈলীতে নির্মিত মন্দির। এর ভেতরে রয়েছে বুদ্ধমূর্তি। ইকোপার্কের এক নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করলে এতে কাছে হয়। এবং এইখানে গেলে ভেতরের জলাশয়ে অবিরাম জল পড়ে চলেছে সেই আওয়াজ পাবেন। পাশাপাশি এখানে রয়েছে প্যাগোডো স্টাইলে তৈরি হয়েছে রোয়ানজি মনাস্ট্রি।

কী ভাবে যাবেন?

হাওড়া থেকে মেট্রো ধরে করুণাময়ী বা সেক্টর ফাইভ নামুন। সেখান থেকে বাসে করে আসতে পারেন। অথবা বিধান নগর স্টেশনে নেমে সেখান থেকে অটো বুক করে ইকোপার্ক (Eco Park) চলে আসুন।

জৈন মন্দির: মানিকতলা থেকে কিছুটা এগিয়ে গৌরী বাড়ির কাছে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন জৈন মন্দির। মন্দিরের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে গেলেই মিল পেতে পারেন রাজস্থানের শিল্পশৈলের সঙ্গে। প্রধান মন্দির শীতল নাথজির। তার ডান পাশে রয়েছে চন্দ্র প্রভুজের মন্দির। এই দুই মন্দিরে রয়েছে তার কাছেই‌। কথিত আছে, ১৮৬৭ সালে বদ্রিদাস বাহাদুর মুকিম মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জৈন তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথের স্মরণে এটি তৈরি হয়। এই মন্দিরটি সকাল ছটা থেকে ১১:০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এবং বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

কীভাবে যাবেন?

শ্যামবাজার বা শোভাবাজার (Shobha Bazar) মেট্রো স্টেশন এ নেমে অটো করে গৌরী বাড়ি। সেখান থেকে কিছুটা হাতটা পথেই পড়বে এই মন্দিরটি। শিয়ালদা থেকে বাসেও গৌরী বাড়ি আসতে পারেন।