বাংলা হান্ট ডেস্ক: পুজোর রেল কাটতে পারেনি। ইতিমধ্যে কোথাও ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু দুর্গাপুজোর সময় যা খরচ হয়েছে তাতে নতুন ভাবে বেশি টাকা খরচ করা সত্যি কারের চাপের হয়। তবে চাপ খাওয়ার কিছু নেই। হতে অল্প কিছু টাকা নিয়ে আপনি ঘুরে আসতে পারেন কার্শিয়াং। এখানের এমন কিছু এলাকার খোঁজ দেব যেখানে আপনি শহরের কোলাহল ভুলে প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন (Travel)। রইল সেই সব জায়গায় ঠিকানা।
প্রিয়জনদের নিয়ে শরতের শেষে ঘুরে আসুন নিরিবিলি ৩ জায়গা থেকে (Travel)
পরিবার, প্রিয়জন অথবা বন্ধুরা মিলে ঘুরতে যেতে চাইছেন। তাও আবার কম খরচে। কিন্তু কোথায় যাবেন বুঝতে পারছেন না। কিন্তু ঘুরতে যাবেন ঠিক করেছেন। তবে চিন্তার কিছু নেই, আজকের প্রতিবেদনে আপনাদেরকে এমন তিনটি জায়গার নাম বলবো যেখানে স্বল্প খরচে আপনি ঘুরতে যেতে পারেন (Travel)।
আরও পড়ুন: সুখবর মধ্যবিত্তের জন্য! দিপাবলির আগে কমল সোনার দাম, জানুন আজকের লেটেস্ট রেট
তাবাকোশি: অল্প খরচে ঘুরতে যেতে চাইলে আপনি যেতে পারেন তাবাকোশি। এটি মিরিক থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে রয়েছে। উত্তরকন্যার কোলে লুকিয়ে থাকা এই পাহাড়ি গ্রামে এখন পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে। এখানে রাংভাং নদীর উপর এক গ্রাম এই তাবাকোশি। পাশাপাশি এখানে গেলে আপনি পাহাড়ের সৌন্দর্যের সঙ্গে চোখে পড়বে পাইন আর বার্চের সমাহার। এজিং তাবাকোশি থেকে জোড়পোখরি, লেপচাজগৎ, পশুপতি মার্কেট, গোপালধারা চা বাগানে ঘুরতে যেতে পারেন।
অহলধারা: অহলধারা দার্জিলিং জেলার কার্শিয়াংয়ের ছোট্ট জনপদ। এখানে সেল্পু পাহাড়ে অবস্থিত একটি পাহাড়ি চূড়া। অহলধারা ভিউ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে কার্শিয়াঙের ৩৬০ ডিগ্রি ‘ভিউ’ দেখতে পাবেন আপনি। এছাড়াও এখানে আসলে এক দিকে পাইনের বন, অন্য দিকে পাহাড়। পাশাপাশি সমতলে এঁকেবেঁকে বয়ে চলেছে তিস্তা।রাতের নিস্তব্ধতা আপনার মন ভালো করতে বাধ্য (Travel)।
বাগোড়া: আপনি অল্প খরচে ঘুরতে যেতে পারেন বাগোড়া গ্রাম। এটি কার্শিয়াঙের কাছেই রয়েছে। যদিও কার্শিয়াং থেকে বাগোড়া যেতে সময় লাগে প্রায় আধ ঘণ্টা মতো। ছিমছাম সবুজে মোড়া বাগোড়া পক্ষীপ্রেমীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এটি কার্শিয়ং সাব-ডিভিশনের অন্তর্গত। এখানে গেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার সঙ্গে মেঘ ও রোদের খেলা দেখতে দেখতেই কেটে যাবে সময়। হাতে সময় থাকলে আপনি যেতে পারেন এখানের চারপাশটা। এছাড়াও এখান থেকে কিছুটা দূরে রয়েছে চিমনি, ডাওহিল ও ফরেস্ট মিউজ়িয়াম (Travel)।