বাংলা হান্ট ডেস্ক: শীতকাল পড়লে পড়ে কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হুজুক ওঠে। তবে কোথায় ঘুরতে যাবেন অনেক সময় ঠিক করে উঠতে পারেন না। এমনকি বহু মানুষ শীতকালে পাহাড়ের পাশাপাশি সমুদ্র ঘুরতে যান। আবার কেউ কেউ বেরিয়ে পড়েন পাখির সন্ধানে। আপনিও যদি শীতের মরশুমে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে আপনার কাছে রইল এই তিনটি জায়গার হদিশ। যেখানে গেলে আপনি প্রাকৃতিক পরিবেশ মন ভরে উপভোগ করতে পারবেন (Travel)।
শীতের ছুটিতে প্রকৃতির কোলে সময় কাটাতে চান? রইল ঠিকানা (Travel)
শীতের মরশুম পড়তে না পড়তে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে ফেলেছেন আপনি। তবে এই মরশুমে পাহাড়ে গেলে পরে প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করা কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে। কারণ এই সময় পাহাড়ে পর্যটকদের সংখ্যা বেশি হয়। আর আপনি যদি প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতে চান তাহলে আপনার জন্য রইল এই ঠিকানাগুলো (Travel)।

রাইমাটাং: ভুটান সীমান্তে অবস্থিত রায়মাটাং। এখানে গেলে পরে আপনি পাহাড় ও সবুজের চা বাগান দেখতে পাবেন। এছাড়াও এখানে গেলে আপনি প্রচুর গণ্ডার দেখতে পাবেন। পাশাপাশি শীতের পাওনা হিসেবে এখানে দেখতে পাবেন বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। তাছাড়া রয়েছে মাছ ধরা, সাফারি এবং ই লেপচাখা ও চুনাভাটাতে ট্রেকিং এর সুযোগ।
গজলডোবা: শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গজলডোবা। এখানে না গেলে আপনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বুঝতে পারবেন না। দক্ষিণে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত তোরাই বনাঞ্চল এটি। কথিত আছে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নাকি তার স্ত্রী রুক্মিনীর সঙ্গে এই বনেই আশ্রয় নিয়েছিল। পাশাপাশি এখানে ঘুরতে আসলে আপনি দেখতে পাবেন, ছোট গ্রেব, বার-হেডেড গিজ, গ্রেলাগ গুজ, লেজার হুইসলিং ডাক, রেড শেলডাক, ইউরেশিয়ান উইজন, বিগ করমোরেন্ট, ইন্ডিয়ান করমোরেন্ট, স্মল করমোরেন্ট, পার্পল হেরন, নর্দার্ন ল্যাপউইং আরও অনেক পরিযায়ী পাখির।
জুনপুট: দিঘার থেকে মাত্র চল্লিশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জুনপুট। কাঁথি হয়ে গেলে রাজ্য মৎস্য বিভাগ দ্বারা পরিচালিত মাছ চাষের ইউনিট দেখতে পাবেন। দেখবেন শুঁটকি মাছ তৈরির প্রক্রিয়া। পাশাপাশি শীতের সমুদ্র সৈকত উপভোগ করতে আপনি পরিবারকে নিয়ে এখানে আসতেই পারেন (Travel)।












