মরশুমের শেষেও বাজার আগুন, ১ কেজি ইলিশ বিকোচ্ছে ২০০০ টাকায়! ক্ষতির মুখে ট্রলার মালিকরা

Published on:

Published on:

Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক : নভেম্বর পড়তেই বাতাসে শিরশিরে ভাব। শীত জানান দিতে শুরু করেছে তার আগমন। শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইলিশের (Hilsa Fish) মরশুমও এবার শেষ হতে বসেছে। কিন্তু দাম কোণ লক্ষ্মণই দেখা যাচ্ছে না মাছ বাজারে। দিঘা মোহনায় সামুদ্রিক মাছের দাম রীতিমতো চড়া। রুলি, চিংড়ি, ভোলা ভেটকির মতো সামুদ্রিক মাছের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ হারে। এমনকি কেজি খানেক ইলিশের (Hilsa Fish) দামও দুহাজার টাকার উপরে চলে যাচ্ছে।

ইলিশের (Hilsa Fish) দাম আগুন বাজারে

দাম বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু ট্রলার মালিকদের লাভের খাতা ফাঁকাই থেকে যাচ্ছে। কারণ এ বছর প্রথম থেকেই আবহাওয়া ছিল প্রতিকূল। সমুদ্রে গেলেও অনেক সময়ই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে মৎস্যজীবীকে। টাকা খরচ করে ট্রলার সমুদ্রে পাঠিয়ে খালি হাতে ফেরায় প্রচুর লোকসান হয়েছে ট্রলার মালিকদের।

Trawler owners are in lose for hilsa fish price

খালি হাতে ফিরেছেন মৎস্যজীবীরা: এ বছর বারবার বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে গেলেও ফেরার জন্য নির্দেশ এসেছে মৎস্য দফতরের তরফে। ফলত সমুদ্রে যাওয়ার টাকা উসুল করতে পারেননি ট্রলার মালিকরা। পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলীয় এলাকা অর্থাৎ দিঘা মোহনা, শঙ্করপুর, তাজপুরের মতো জায়গাগুলিতে দেখা যাচ্ছে একই চিত্র। আসলে প্রতিবার সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার জন্য জ্বালানি তেল, খাবার, বরফ, জাল, শ্রমিক মজুরির পেছনে প্রচুর টাকা খরচ হয়েছে ট্রলার মালিকদের। কিন্তু মাছ (Hilsa Fish) না ধরে ফিরে আসায় সেই অর্থের সামান্য অংশটুকুও পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন : রাসযাত্রায় বিশেষ ‘রাত্রি পরিষেবা’, যাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত ট্রেনের ব্যবস্থা পূর্ব রেলের

ক্ষতির মুখে ট্রলার মালিকরা: দিঘা মোহনার এক ট্রলার মালিক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সমুদ্রে প্রতিটি ট্রিপে খরচ হয় হাজার হাজার টাকা। কিন্তু নিম্নচাপের জেরে মাছ (Hilsa Fish) না পেয়েই বাড়ি ফিরতে হয়েছে। অনেকে ধারদেনা করেছিলেন, আর এখন ট্রলারের ঋণ শোধ করা দায় হয়ে উঠেছে তাঁদের। মৎস্যজীবীরা জানান, গত বছরও নিয়মিত সমুদ্রে গিয়ে মাছ ধরেছেন তারা। কিন্তু এবছর তা সম্ভব না হওয়ায় তাদের মাসিক আয় অর্ধেকেরও বেশি কমে গিয়েছে।

আরও পড়ুন : টিআরপির আকাল, ৫ মাস পুরনো মেগায় পড়ল কোপ! বছর ঘোরার আগেই ওলটপালট জলসার স্লট

এদিকে সামুদ্রিক মাছের জোগান কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা হিমঘরে থাকা মাছ চড়া দামে বিক্রি করছেন। পুরনো মাছ বেশি দামে বেচে দিচ্ছেন অনেকে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, জোগান না থাকায় বেশি দামেই মাছ বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।