বাংলাহান্ট ডেস্ক : মা এবং মেয়ে দু’জনেই নাকি ভালবাসতেন তাঁর ছেলেকে। সে তো একটাই মানুষ। সে একা আর কী করবে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনই দাবি করলেন হরিদেবপুর-কাণ্ডে (Haridevpore Murder Case) নিহত অয়ন মণ্ডলের বাবা।
অয়নের বাবা বলেন, ‘অয়নের বান্ধবীর বাবা জেনে যায় যে আমার ছেলের সঙ্গে ওঁর স্ত্রীরও একটা সম্পর্ক রয়েছে, আবার মেয়ের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। ভেবেছে ওকে যদি মেরে দিই তা হলে আমার সংসার সুখে থাকবে। এই কারণেই খুন করা হয়েছে। মা-ও আমার ছেলেকে ভালবাসে, মেয়েও আমার ছেলেকে ভালবাসে। আমার ছেলে কী করবে? একটাই তো ছেলে! এ বার কী করবে ছেলেটা? দু’জনকে একসঙ্গে কী করে চালাবে সে?’ ত্রিকোণ সম্পর্কের জেরেই অয়ন খুন হয়েছেন বলে দাবি করেন অয়নের বাবা। শুধু অয়নের বাবাই নয়। এমনটা আগেই দাবি করেছিলেন অয়নের আর এক বন্ধুও। এখনও পর্যন্ত অয়ন-খুনের ঘটনায় পুলিশ মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার রাতে নিহত অয়নের বান্ধবী, তাঁর মা রুমা জানা এবং ভাইকে গ্রেফতার করে হরিদেবপুর থানার পুলিস। শনিবার সকালে বান্ধবীর বাবা দীপক জানা, বান্ধবীর ভাইয়ের এক বন্ধু এবং পণ্যবাহী গাড়ির চালককে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার বেলা বাড়তে অয়নের বান্ধবীর ভাইয়ের আরও এক বন্ধুকে ওড়িশার জাজপুর থেকে পুলিস পাকড়াও করে। অভিযুক্তদের শনিবারই আদালতে তোলা হবে বলেও খবর। ধৃতদের পাশাপাশি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলেও পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে।
প্রশাসনের তরফ থেকে জানা যায়, দশমীর রাতে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান অয়ন। মত্ত অবস্থায় তিনি বান্ধবীর হরিদেবপুরের নতুনপল্লির বাড়িতে পৌঁছে বান্ধবী এবং তাঁর মা রুমাকে হেনস্থা করেন, এমনই উল্লেখ রয়েছে পুলিসের রিপোর্টেও। দিদি এবং মাকে হেনস্থা হতে দেখে বান্ধবীরই কিশোর ভাই ইট জাতীয় কোনও ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে অয়নকে খুন করে। পরে বান্ধবীর বাবা দীপক ঘটনাস্থলে পৌঁছন। অয়নের বান্ধবীর ভাইদের সঙ্গে যোগসাজশ করে অয়নের মৃতদেহ পাচার করার জন্য ভাড়া করা হয় একটি পণ্যবাহী গাড়ি। এর পরই মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে মগরাহাটের করিমাবাদে ফেলে দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকেই অয়নের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিস।