বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহুদিন ধরে গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) জেল বন্দি রয়েছেন প্রাক্তন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বর্তমানে দিল্লির তিহাড়ে রয়েছেন অনুব্রত ওরফে। এবার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ফের শুরু হতে চলেছে বিচার পর্ব। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই গরু পাচার মামলার যাবতীয় শুনানি শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগেই আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই গরু পাচার মামলার একাধিক চার্জশিটের কপি, বিভিন্ন রিপোর্টের প্রতিলিপি-সহ এক লক্ষ পাতার নথি অনুব্রত সহ এই মামলার মোট ১২ জন অভিযুক্তর কাছে কাছে পৌঁছে দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। সিবিআই সূত্রে খবর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই সেই সব নথি অভিযুক্তদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন কেষ্ট। দীর্ঘ সময় ধরে লেগে থাকলেও এখনও তদন্ত পক্রিয়া শেষ করতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআই। এই আবহে গত ২২ জানুয়ারি গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রতর মামলার ক্ষেত্রে ডেডলাইন বেঁধে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগের শুনানিতে কেন্দ্রের অতিরিক্ত জেনারেল এসভি রাজু জানান, সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত শেষ। চার্জশিট জমা দিয়ে দেওয়া হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দেয়, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে নিম্ন আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের মামলার ট্রায়াল শুরু করতে হবে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
প্রসঙ্গত ২০২২ সালের আগস্ট মাসে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। প্রথমে আসানসোল সিবিআই আদালতে এই মামলা চলে। সেখানেই সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন তৃণমূল নেতা। এরপর তিহার জেলে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয় অনুব্রতকে। সেখানেই রয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে তাকে গ্রেফতার করে ইডিও।
গরু পাচার মামলায় এখনও পর্যন্ত চারটি চার্জশিট জমা পড়েছে। কিন্তু তদন্ত শেষ না হওয়ায় বিচার পক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। মূল অভিযুক্ত-সহ বেশ কয়েক জন আপাতত জামিনে মুক্ত। শুধু অনুব্রতরই কপাল খারাপ। দীর্ঘদিন ধরে জামিন পাওয়ার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন অনুব্রত। কখনও রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট, আবার কখনও দিল্লি হাইকোর্ট, কিন্তু কোনও আদালতেই স্বস্তি মেলেনি তৃণমূল নেতার। সুপ্রিম কোর্টেও জামিনের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে’, সুপ্রিম কোর্টে যা যা বললেন অভিষেক, শোরগোল পড়ে গেল
ওদিকে ফের সুপ্রিম কোর্টে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের বিরোধিতা করে ইডির আইনজীবী এস ভি রাজু। ‘অনুব্রতই মামলার মূল অভিযুক্ত। জামিন পেলে সাক্ষ্য প্রমাণ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা’, আদালতে সওয়াল করে ইডি। ওদিকে জেলে থাকাকালীনই কেষ্টর বিরুদ্ধে বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারককে হুমকি চিঠি পাঠানোর অভিযোগ ওঠে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টে এদিন সেই প্রশ্ন উঠলে রোহতগি বলেন, ব্যক্তিগত রেষারেষির জেরে ওই চিঠি। বর্ধমান আদালতের কর্মী বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নামে ওই চিঠি গিয়েছিল। ব্যক্তিগত রোষেই আইনজীবী সুদীপ্ত রায় বাপ্পার নামে সেই চিঠিটি পাঠান। পুলিশ সুদীপ্তকে গ্রেফতারও করে। এর সাথে কোনও ভাবেই অনুব্রতর কোনও যোগ নেই।