বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেখতে দেখতে পাঁচ মাস পার। ১২ বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর দাম্পত্য জীবনও দারুন উপভোগ করছেন টেলিদুনিয়ার সুপারহিট জুটি নীল ভট্টাচার্য্য (neel bhattacharya) ও তৃণা সাহা (trina saha)। প্রেমের মাসেই নিজেদের সম্পর্ককে চিরবন্ধনে বেঁধেছেন দুজন। তবে বিয়ের আগের ও পরের জীবনের মধ্যে তেমন বড়সড় কিছু পরিবর্তন তৃণার হয়নি। কেবল বাড়িটা বদলেছে এই যা।
অভিনেত্রী অকপটে স্বীকার করেন, বিয়ের আগে বাপের বাড়িতে এক গেলাস জল পর্যন্ত গড়িয়ে খেতে হত না তাঁকে। শ্বশুরবাড়িতে এসেও বদলায়নি সে স্বভাব। কারণ এ বাড়িতে এসে অভিনেত্রীর শাশুড়িই তাঁর মায়ের জায়গা নিয়ে নিয়েছেন। নিজের মেয়ের মতোই তাঁকে ভালবাসেন নীলের মা। কুটোটিও নাড়তে দেননা তৃণাকে।
তবে অভিনেত্রী জানান, রান্নার শখ থাকলেও সারা দিন শুটিং করে বাড়ি ফিরে আর রান্নাঘরে ঢোকার ক্ষমতা থাকে না তাঁর। তবে ছুটির দিনে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের, বন্ধুবান্ধবদের নিজের হাতে রকমারি রান্না করে খাওয়ান। অপরদিকে নীল রান্না না করলেও স্ত্রীকে সাহায্য করেন। নানান রকমের ঠান্ডা পানীয় বানানো এমনকি বাসন মাজাতেও নাকি বেশ পটু অভিনেতা।
দীর্ঘ ১২ বছরের প্রেম নীল তৃণার। টেলিপাড়ায় তাঁদের জুটিকে ‘কাপল গোলস’ বলা হয়। কতটা কঠিন ছিল এতগুলো বছর সম্পর্কটা ধরে রাখা? ‘খড়কুটো’ অভিনেত্রী বলেন, এই লম্বা সময়টায় অনেকেই তাঁদের সম্পর্কটা ভাঙার চেষ্টা করেছিল। নীলের ব্যাপারে নানান কথা বলে কান ভাঙাতে চেয়েছিল তৃণার।
কিন্তু অভিনেত্রীর স্পষ্ট কথা, তাঁদের মধ্যে এতটাই ভরসা ছিল যে বিশ্বাসের জায়গা থেকে কেউ টলাতে পারেনি। উপরন্তু তাঁরা একে অপরকে এই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, যেকোনো কথাই সবার প্রথমে একে অপরকে বলবেন। যাতে পরে অন্য কারোর কিছু বলার সুযোগই না থাকে। সে প্রতিজ্ঞা এখনো রেখে চলেছেন নীল। বিয়ের পরেও কোনোদিন রাতে ফিরতে দেরি হলে তিনি নিজেই ফোন করে তৃণাকে বলে দেন কোথায় আছেন।