বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিলা খুনের মামলায় (Duttabad Murder) আরও এক জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সজল সরকার। তিনি কোচবিহারের বাসিন্দা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের এক ব্লক সভাপতি। সূত্রের খবর, রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত সজল। স্বর্ণ ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডে তাঁর ভূমিকা কী, তা খতিয়ে দেখছে বিধাননগর পুলিশ।
জেরায় উঠে আসছে একাধিক নাম
এর আগে এই মামলায় (Duttabad Murder) রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের গাড়িচালক এবং এক বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। বুধবার সজল সরকারকে গ্রেপ্তার করার পর এই ঘটনায় মোট তিনজন ধৃতের সংখ্যা পৌঁছল ৩-এ। তদন্তকারীরা মনে করছেন, সজলের মাধ্যমে ঘটনার সূত্র আরও স্পষ্ট হতে পারে।
কী ঘটেছিল স্বর্ণ ব্যবসায়ীর সাথে (Duttabad Murder)?
নিহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম স্বপন কামিলা। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের নীলদা পোস্ট অফিস সংলগ্ন দিলামাটিয়া এলাকায়। দত্তাবাদে তাঁর একটি সোনার গয়নার দোকান ছিল। পরিবারের অভিযোগ, গত ২৮ অক্টোবর দোকান থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। এরপর বিধাননগর দক্ষিণ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন স্বজনরা। কয়েকদিন পর নিউটাউনের যাত্রাগাছির বাগজোলা খালপাড়ের ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় এক দেহ, যা পরে ছবি দেখে শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা (Duttabad Murder)।
স্বপন কামিলার পরিবার দাবি করেছে, অপহরণ ও খুনে সরাসরি যুক্ত রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন। তাঁদের কথায়, দত্তাবাদে দোকান ভাড়া করে প্রায় ১০-১৫ বছর ধরে ব্যবসা করতেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। কিছুদিন আগে বিডিওর বাড়ি থেকে নাকি গয়না চুরি যায়, যা পরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দোকানে বিক্রি হয়েছে বলে দাবি করেন বিডিও। সেই সূত্রেই প্রথম দত্তাবাদে আসেন তিনি। অভিযোগ, সেই বিরোধের জেরেই ২৮ অক্টোবর নীলবাতি গাড়ি নিয়ে ফের দোকানে হাজির হন প্রশান্ত বর্মন। পরিবারের দাবি, ওই গাড়ি থেকে তাঁকে নামতে দেখা যায়, সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন। ওই গাড়িতেই স্বপন কামিলাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরদিন তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

আরও পড়ুনঃ রাজ্যের ভোটার তালিকায় ৪৩ লক্ষ ‘প্রয়াত ভোটার’-এর হদিশ, আধার ডেটা থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য কমিশনের হাতে
এই হত্যাকাণ্ডে আগে গ্রেপ্তার হয়েছিল বিডিওর গাড়িচালক এবং তাঁর এক বন্ধু। বুধবার ধৃত হলেন তৃণমূল ব্লক সভাপতি সজল সরকার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন ধৃতকে একসঙ্গে জেরা করে পুরো ঘটনার (Duttabad Murder) সূত্র বের করার চেষ্টা চলছে। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, সরকারি গাড়ি ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে এই অপহরণ ও হত্যার ছক কষা হয়েছিল।












