বাংলা সহ তিন রাজ্যে ভরাডুবি তৃণমূলের! মেঘালয়ে প্রধান বিরোধী তকমাও হারাল ঘাসফুল

বাংলা হান্ট ডেস্ক : লম্ফঝম্পই সার, কাজের কাজ হলো না কিছুই। ২ রাজ্যের নির্বাচনে ডাহা ফেল তৃণমূল (Trinamool Congress)। ত্রিপুরায় (Tripura) তো খাতাই খুলতে পারল না জোড়াফুল। এমনকি নোটার কম ভোট পেয়ে লজ্জানক হার হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দলের। দেখে নেওয়া যাক তৃণমূলের এই ব্যাপক ভরাডুবির কারণগুলি কী কী?

১) অযোগ্য নেতৃত্ব : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় যতই হাতি ঘোরা মারার বড়াই করুন, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তাঁর যে কোনও গ্রহণযোগ্যতাই নেই তা একাধিকবার প্রমাণিত। তাঁর ভরসায় থেকে গোয়াতে ফুল ফোটেনি, ত্রিপুরায় ভরাডুবি, মেঘালয়ে খাতা খুললেও আশানুরূপ ফল হয়নি।

২) কন্যাশ্রীর ফ্লপ সো : লক্ষ্মী ভান্ডার ও কন্যাশ্রীর উপর ভর করে বাংলার বুকে একাধিক নির্বাচনে জিতেছে তৃণমূল। মেঘালয় এবং ত্রিপুরায় এই দুই প্রকল্পকেই সামনে রেখে প্রচার চালায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি বাংলার সমস্ত জনকল্যাণকামী প্রকল্পই এই দুই রাজ্যে চালু করার আশ্বাস দেন মুখ্যামন্ত্রী। বাস্তবে দেখা গেল এই প্রকল্পের উপর কোনও আগ্রহই নেই ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের অধিবাসীদের।

meghalaya tmc

৩) সর্বভারতীয় তকমা : তৃণমূলের সর্বভারতীয় তকমা নিয়ে এর আগেও বিতর্ক উঠেছে। আদৌও কি তৃণমূল সর্বভারতীয় দল? যেভাবে একের পর এক রাজ্যে পর্যুদস্ত হচ্ছে জোড়া ফুল শিবির তাতে এই বিষয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।

বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্যে এনপিপি জয়ী হয়েছে ১৭ আসনে। এগিয়ে রয়েছে ৮ আসনে। শতাংশের হিসেবে এনপিপি পেয়েছে ৩১.৩৭ শতাংশ ভোট। প্রধান বিরোধী দল হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে হয়েছে ইউডিপি। ১০টি আসনে জয়ের পাশাপাশি ১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তারা। দখলে ১৬.৩৩ শতাংশ ভোট। এদিকে সাগরদিঘীতেও তৃণমূল বিজেপিকে হারিয়ে জয়ী হল বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর