বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) মাধ্যমে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছিল বিরোধীরা। এবার সেই সামরিক অভিযানের সাফল্য সামনে রেখে পথে নেমেছে রাজ্যের শাসক-বিরোধী। বিজেপির (BJP) তরফ থেকে আগেই ১৬ মে শহর কলকাতায় ‘তিরঙ্গা যাত্রা’ করার ঘোষণা করা হয়েছিল। পাল্টা জাতীয়তাবাদী মিছিলের ঘোষণা করে তৃণমূল (Trinamool Congress)। কার জাতীয়তাবোধ কতখানি বেশি, শাসক-বিরোধী যেন সেটাই প্রমাণ করতে মরিয়া। মনে করছেন অনেকে।
অপারেশন সিঁদুর সামনে রেখে মিছিল বিজেপি-তৃণমূলের (Trinamool Congress)!
মঙ্গলবার তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়, দেশের সেনাবাহিনীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে ও শহিদ জওয়ানদের প্রতি শদ্ধা নিবেদন করতে ১৭ ও ১৮ মে বিকেল ৩-৫টা অবধি রাজ্যজুড়ে দেশপ্রেমিক সমাবেশ হবে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি অসম, ত্রিপুরা ও গোয়ায় এই কর্মসূচি হবে বলে জানানো হয়।
সেই ঘোষণা মতো আজ থেকে শুরু হয়ে গেল তৃণমূলের (TMC) জাতীয়তাবাদী মিছিল। গ্রাম থেকে শহর, রাজ্যের একাধিক প্রান্তে দেখা গেল শাসকদলের মিছিল। বাংলার পাশাপাশি দেশের আরও তিনটি রাজ্যে এই মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোড়াফুল শিবির।
আরও পড়ুনঃ মমতার ‘ডোজে’র পরেই অ্যাকশন! সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে বিরাট উদ্যোগ নবান্নের
অন্যদিকে বিজেপি আগে থেকেই অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য উদযাপন শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই দেশের নানান প্রান্তে ‘তিরঙ্গা যাত্রা’ করেছে তারা। গতকাল শহর কলকাতাও পদ্ম শিবিরের এই কর্মসূচির সাক্ষী থেকেছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অপারেশন সিঁদুর মোদী সরকারের মস্তিষ্কপ্রসূত হলেও এর কোনও বিরোধিতা করেনি তৃণমূল। উল্টে কেন্দ্রের (Central Government) পাশেই দাঁড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদল। এবার সেনাবাহিনীর সাফল্য উদযাপনের সিদ্ধান্তও নিয়েছে তারা।
এই কর্মসূচি ঘোষণা হওয়ার পর তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, ‘আমাদের শহিদদের আত্মত্যাগের কথা আমরা কখনও ভুলব না। সেনাবাহিনীর পাশে থাকার বার্তা দিতে ও তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে আমরা এই জাতীয়তাবাদী মিছিল করছি’।
তৃণমূলও (Trinamool Congress) স্পষ্ট জানিয়েছিল, কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এই জাতীয়তাবাদী মিছিল হবে না। বরং একতা ও জাতীয় সংহতির বার্তা দেওয়াই তাদের লক্ষ্য।