বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জেলায় জেলায় এবার ‘বীরভূম মডেল’। এবার ব্লক স্তরেও একই কাঠামো চালু করল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলাতে এবং সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে এই নতুন কোর কমিটি মডেলকে সামনে আনছে দল। ফলে, ব্লক সভাপতি পদ কার্যত উঠিয়ে দিয়ে তার জায়গায় বহু সদস্যের আহ্বায়কভিত্তিক কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
কোর কমিটি গঠনে জোর শাসক দলের (Trinamool Congress)
খোদ বীরভূমের সিউড়ি ব্লক ২-এ কোর কমিটি তৈরি হয়েছিল। এবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি ও লালগোলাতেও সভাপতি পদ তুলে দিয়ে যথাক্রমে ৬ ও ৭ সদস্যের কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাগরদিঘির আহ্বায়ক হয়েছেন বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস, আর লালগোলায় দায়িত্ব পেয়েছেন রুমা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহরমপুর টাউনেও বদল এসেছে। সেখানে নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়কে আহ্বায়ক করে ৮ সদস্যের কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বহরমপুর আসনটি দখল করেছিল বিজেপি।
অন্যদিকে ভরতপুরের দু’টি সাংগঠনিক ব্লকে এখনও কোনও নেতৃত্বের নাম ঘোষণা হয়নি। অথচ, ভরতপুরের তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগেই নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন। ফলে ওই ব্লকের সাংগঠনিক রদবদল ঘিরে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
হুগলির আরামবাগ ও শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলাতেও একই রদবদল আনা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বলাগড়ে তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর সঙ্গে স্থানীয় নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসছিল। এবার সেই জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন আর এক বিধায়ক অসীমা পাত্র। তাঁকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্যের কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে, যেখানে প্রাক্তন বিধায়ক অসীম মাজিকেও রাখা হয়েছে।
আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত খানাকুল এক নম্বর ব্লকও বাদ যায়নি এর আওতা থেকে। জেলা সভাপতি রামেন্দু সিংহকে আহ্বায়ক করে ৬ সদস্যের কোর কমিটি তৈরি করা হয়েছে। যদিও খানাকুল বর্তমানে বিজেপির দখলে রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ “মহাপ্রভুর উত্তরাধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!” তৃণমূল নেতার বিতর্কিত মন্তব্যে তুঙ্গে রাজ্য রাজনীতি
প্রসঙ্গত, বীরভূমে প্রথম এই কোর কমিটি মডেল চালু হয়েছিল। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে দার্জিলিংয়ের সমতলেও। আর এখন জেলায় জেলায়, এমনকি ব্লক স্তরেও সেই মডেল ছড়িয়ে পড়ছে। এখন রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, এই রদবদল কি সত্যিই তৃণমূলের (Trinamool Congress) অস্বস্তি কমিয়ে সংগঠনের শক্তি বাড়াবে?