বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পূর্ব বর্ধমানের রাজুয়া গ্রামে ভয়ঙ্কর বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল গোটা এলাকা। ঘটনায় মৃত্যু হয় এক জনের, জখম হন অনেকে। একটি বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছিল। পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও তাতে আস্থা রাখতে পারেননি যুব তৃণমূলের (Trinamool Congress) সহ-সভাপতি ও আইনজীবী শুভেন্দু দাস। ফলে তিনি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA-র তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন। আর এই ঘটনাতেই শোরগোল পড়ে যায় তৃণমূলের অন্দরে।
পুলিশকে ভরসা করা যায় না, বললেন শুভেন্দু
শুভেন্দুর যুক্তি ছিল, এই ঘটনায় কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় নিজেই বলেছিলেন, তাঁর উপরে হামলার ছক ছিল। সেই মন্তব্য তুলে শুভেন্দু বলেন, “যেখানে বিধায়কই আক্রান্ত হতে পারেন, সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? পুলিশকে আর ভরসা করা যায় না।” তাঁর আরও দাবি, “এটা ছোটখাটো ঘটনা নয়। একজন মারা গিয়েছেন, বাড়ি উড়ে গিয়েছে। আমি তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।”
এই বক্তব্য সামনে আসতেই তৃণমূলের (Trinamool Congress) কড়া প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ জানান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশে শুভেন্দুকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘উনি কেন এই মামলা করলেন, জানি না। তবে পুলিশ ঠিকঠাক কাজ করছে।’’
অভিযুক্ত তুফান ধরা পড়তেই উদ্ধার অস্ত্র, বোমার মশলা
বুধবার রাজুয়া বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তুফান চৌধুরীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি এবং দু’কেজি বোমার মশলা। ওই দিনই তাঁকে কাটোয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, বোমা তৈরির সূত্র ও আরও কিছু তথ্য হাতে এসেছে।
আরও পড়ুনঃ কথা রাখল ভারত! বাংলাদেশে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের পাশে দাঁড়াতে অভিনব উদ্যোগ কেন্দ্রের
এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, একজন দলীয় নেতা যদি জননিরাপত্তা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন, তাহলে তাঁকে ‘দলবিরোধী’ বলেই সরিয়ে দেওয়া হবে? তৃণমূল (Trinamool Congress) অবশ্য বলছে, সংগঠনের শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে শুভেন্দুর এই মামলা ঘিরে নতুন করে বিতর্ক জোরালো হচ্ছে।