বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১৩ বছর আগে কলেজ ছেড়েছেন তিনি, তবুও ক্যাম্পাসে তাঁর দাপট অটুট! তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (Trinamool Congress) প্রাক্তন নেতা সঞ্জয় চৌধুরীর বালিগঞ্জ আইটিআই (Baliganj ITI) কলেজে উপস্থিতি ও আচরণ ঘিরে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। ‘রাত ১২টার পরেও ক্যাম্পাস খোলা থাকে’, ‘জন্মদিনের পার্টিতে মদ, চটুল গান, মেয়েদের ডেকে আনা হয়’—এই সব অভিযোগে সরগরম গড়িয়াহাট এলাকা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে থানায় ডেপুটেশন (Police Complaint) জমা পড়েছে।
২১ জুলাইয়ের সভায় উপস্থিত সঞ্জয়, দল (Trinamool Congress) জানে না কিছুই?
এই সঞ্জয় চৌধুরীকেই বুধবার গোলপার্কে তৃণমূলের (Trinamool Congress) ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় (TMC Program) দেখা গিয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, ওই এলাকার কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায় বলছেন, “এই ওয়ার্ডে আমাদের কোনও কর্মসূচি ছিল না। কে করেছে জানি না।” তাহলে কে ডাকল সঞ্জয়কে? কেনই বা তিনি মঞ্চে এলেন—এই প্রশ্ন ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে।
ক্যাম্পাসে ‘মনোজিৎ মডেল’? ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন স্থানীয়রা
স্থানীয়দের অভিযোগ, সঞ্জয় চৌধুরীর (Sanjay Chowdhury) সঙ্গে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা মনোজিৎ মিশ্রের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। বালিগঞ্জ আইটিআই কলেজে আজও চলে তাঁদের দাদাগিরি। পড়ুয়া না হয়েও যাঁরা কলেজে ঘোরাফেরা করেন, তাঁদের নিয়ন্ত্রণের দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা। একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।
দল (Trinamool Congress) কি দূরত্ব চাইছে?
তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক দেবাশিস কুমার (Debasish Kumar) বলেছেন, “অনুষ্ঠানে অনেকেই থাকতে পারেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখা দরকার। দোষ প্রমাণিত হলে শাস্তি হোক।” তাঁর মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট, সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ (Allegation) গুরুত্ব পাচ্ছে। যদিও তিনি সরাসরি দায় নিতে চাননি, বরং বিষয়টি প্রশাসনের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ১০০ দিনের কাজ থেকে কন্যাশ্রী—চালাতে গিয়ে ফাঁকা কোষাগার, কোন কোন প্রকল্প বন্ধ হবে? জানুন
দাপট থামছেই না, প্রশ্ন ঘুরছে দলে (Trinamool Congress)
একজন প্রাক্তনী হয়ে কিভাবে দিনের পর দিন কলেজে প্রভাব খাটাচ্ছেন সঞ্জয়, তা নিয়ে উত্তাল গড়িয়াহাট। এভাবে কোনও দলের সভায় তাঁর হাজিরা, আবার দলের নেতানেত্রীরাই জানেন না—এই রহস্য নিয়েই এখন ক্যাম্পাস কন্ট্রোভার্সি (Campus Controversy) রাজনীতির কেন্দ্রে।