বাংলাহান্ট ডেস্ক : এসআইআর নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ তৃণমূল। বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশন এসআইআর নিয়ে যেভাবে তাড়াহুড়ো করছে তাতে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার উত্তরকন্যার প্রশাসনিক বৈঠকে ‘এসআইআর স্টে হওয়া উচিত’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তারপরেই এ বিষয়ে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন রাজ্যের শাসক দল। আজ মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এসআইআর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ তৃণমূল
এসআইআর এর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ এত তাড়াহুড়ো করে হয় না। তাতে অনেক ভুলভ্রান্তি থেকে যেতে পারে। এই আবেদন করেই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা দায়ের করেন দুই তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন এবং মালা রায়। সোমবার উত্তরকন্যার বৈঠকে একযোগে কেন্দ্র এবং নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কেন্দ্রকে নিশানা মমতার: কটাক্ষ শানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘নোটবন্দির মতো এসআইআরও গায়ের জোরে পগার পার করবে বলে ভাবছে। কিন্তু পগার পার ওদের হতে হবে। বাংলার মানুষ ক্ষমা করবে না।’ এদিন তিনি এও বলেন, তাঁর মতে, এসআইআর স্টে করা উচিত। কারণ কোটি কোটি মানুষ এখনও পর্যন্ত ফর্মই পায়নি। নিজের মন্তব্যের সপক্ষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগে এত কম সময়ের মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি করা, ফর্ম ফিল আপ করা কার্যত অসম্ভব।
আরও পড়ুন : সোমের পর মঙ্গলেও ভুয়ো খবর, বেঁচে আছেন ধর্মেন্দ্র, গুজব ওড়ালেন ক্ষুব্ধ কন্যা এষা
কী অভিযোগ তৃণমূলের: মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচন ঘোষণার আগে তিন মাস রাজ্য যাতে কোনোরকম কাজ না করতে পারে তার জন্য সুপার এমার্জেন্সির মতো পরিস্থিতি তৈরি করে অফিসারদের আটকে রাখা হয়েছে। শিক্ষকদের স্কুলে ক্লাস করানোর পাশাপাশি বিএলওর দায়িত্বও (Supreme Court) সামলাতে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের হৃদয় কাঁদছে আর বিজেপি হাসছে। কিন্তু প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ গেলে ছেড়ে কথা বলা হবে না, স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মমতা।
আরও পড়ুন : এক বাসেই কলকাতা থেকে ভুটান! নামমাত্র ভাড়ায় আরামদায়ক সফর, জেনে নিন রুট
রাজ্যের শাসক দল অভিযোগ করেছে, এসআইআর এর নাম করে রাজ্যের প্রকৃত ভোটারদের একাংশের নাম পরিকল্পিত ভাবে বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। শাসকদলের হাতে এ সংক্রান্ত নথি এসেছে বলেও জানা যাচ্ছে। এবার তার ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়াল মামলা।












